সিলেটের গোয়াইনঘাটে মোক্তার হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে গ্রেফতারকৃত আসামী আহাদ।
মোটরসাইকেলের ভাড়ার টাকা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দি প্রদান করে সে।
বিষয়টি সিলেট প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. লুৎফর রহমান।
জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার সাকের পেকের খাল নামাক স্থানে এক যুবকের লাশ পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে লাশ শনাক্ত হলে জানা যায় মোক্তার গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দা ও মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। উদ্ধারকৃত লাশের মাথার বাম পাশে, গলার ডান ও বাম পাশে এবং ডান হাতের বাহুর নিচে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।
এবিষয়ে ভিকটিমের ভাই আলমাছ আহমদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পরদিন ১৫ এপ্রিল বিছনাকান্দি হাদারপাড় এলাকা হতে ভিতরগুল গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া, একই গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে আব্দুর রহিম এবং মোঃ আব্দুল মন্নানের ছেলে আব্দুল আহাদ-দেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের ০২ দিনের রিমান্ড মঞ্জর করে। রিমান্ড শেষে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে ঘটনা সংক্রান্তে দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে আসামী আহাদ।
সে আদালত কে জানায় গত ১১ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে আসামী আব্দুল আহাদ ও তার বন্ধু সাইদুল ও উজ্জলের সাথে ভিকটিমের মোটরসাইকেলের ভাড়ার টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল মোক্তারকে হত্যা করে তার মোটরসাইকেল বিক্রি করে পাওনা টাকা পরিশোধ করবে। তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মোক্তারকে বাড়ী হতে ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে হত্যা করে।