২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩:১৭

করোনার মধ্যেও জমে উঠেছে সিলেটে ঈদের বাজার

সোনার সিলেট ডেস্ক
  • আপডেট সোমবার, মে ১০, ২০২১,

আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। বৃহস্পতি অথবা শুক্রবারেই ঈদ।  তাই চলছে শেষ মুহূর্তের ঈদের কেনকাটা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিং মল, সব জায়গাতেই মানুষের ভিড়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রমজানের শেষের দিকে চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পাওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় আরও বেড়ে গেছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কোনও নিময়-বিধির তোয়াক্কা না করে পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই কোথাও। সিলেটের ছোট-বড় মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। এতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে বলে মনে করছে সচেতন মহল। তবে এবার অনলাইনেও কেনাকাটাও চলছে।

কর্মজীবী নারী সুলতানা বলেন, চাকরি ও সংসার দুটো মিলিয়ে শপিংয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। তিনি অনলাইন থেকে একটি দুটি ড্রেস কিনেছি। গোলাপি রংয়ের একটি ড্রেসের দাম ৩ হাজার টাকা।

সিলেটের হাসান মার্কেট, মধুবন, ব্লু-ওয়াটার, কাকলি শপিং সেন্টার, শুকরিয়া মার্কেট, লতিফ সেন্টার, আল-হামরা, কাজী ম্যানশন, হকার্স মার্কেটে চলছে ঈদের কেনাকাটা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করতে দেখা গেছে নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে। গরমে আরামের কথা মাথায় রেখে পোশাক কিনছেন ক্রেতারা। এবারের ঈদে অন্য বছরের চেয়ে বিদেশি পোশাকের আধিক্য তেমন নেই বললেই চলে। তবে দেশি পোশাকের কদর তাতে কমেনি। মোম বাটিক, একরঙা, দুরঙা অথবা তিন রঙের নকশার চাহিদাই বেশি। অনেকেই কারিগরদের দিয়ে পোশাকে পছন্দের নকশা করিয়ে নিচ্ছেন।

সিলেট নগরীর উপশহরের বাসিন্দা তাহিয়া চৌধুরী বলেন, ঈদে এবার পোশাকের দাম অনেক বেড়েছে। আর চাহিদা মতো তেমন পোশাক মার্কেটে নেই। ব্যবসায়ীরা নতুন পোশাক এবার কম নিয়ে এসেছেন। তবে বিক্রেতারা সেটি মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, দাম আগের চেয়ে কিছুটা কম।

ঈদের কেনাকাটায় সিলেটে সবচেয়ে বেশি ভিড় লেগে আছে শুকরিয়া মার্কেটে। গজ কাপড়ের জন্য ক্রেতারা শুকরিয়া মার্কেট, চাঁদনী চক ও এলাকার মার্কেটগুলোতে আসছেন।

শুকরিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন জানান, এবার সুতি কাপড়ের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বেনারসি, জর্জেট, কাতান, সিল্ক, শার্টিন ও জুট কাতানের বিক্রিও ভালো। তরুণীদের জন্য এবারও সারারা, গাউন, লম্বা স্কার্ট, লম্বা কামিজ সবই ভালো চলছে। সারারার সঙ্গে চলছে পালাজ্জো। গাউনের মধ্যে ফ্লোর টাচ বা পায়ের পাতা ছোঁয়া গাউনের চাহিদা বেশি। কেউ কেউ লম্বা গাউনের সঙ্গে বাহারি ওড়নাও পছন্দ করছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo