জলের উপর ছায়ার নাচন বহুবার দেখেছি!
দেখতে ভালো লাগে বলে বিমোহিত হয়ে বসে থেকেছি
কত বিমূর্ত সময় জলের পারে।
তারপর নিঃসঙ্গ জলে
নিস্তরঙ্গ জলে হঠাৎ ঢিল।
তরঙ্গিত জল তার ঢেউ আমার ভালো লাগেনি
বিমর্ষ চিত্তে বসে থেকেছি তবু চলে আসিনি
তরঙ্গিত জলের দাপাদাপি উৎসব সেটাও উপভোগ্য কারো কাছে
আমার শুধু স্থীর জলে ছায়ার নাচন ই
ভালোলাগে! উদাস দুপুরে স্বাস্থ্যবান বাতাস কত খেলে গেলো
তবু লোকেশন বদলাতেও ভালো লাগেনি।
কতবার কত জল গড়ালো, জল ঝড়ালো
কাঁচের গ্লাস ভর্তি বিশুদ্ধ জল, কলসি ভর্তি জল
বৃষ্টি অথবা কলের জল! ঝড়ের দাপা দাপিতেও জলের খেলা
এ ডাল ভাঙ্গে, ওগাছ ভাঙ্গে, বাগান তছনছ, কখনো নাজুক ঘরও ভাঙ্গে
সকল ক্ষেত্রেই জলের খেলা।
তবু আমার স্থির জলে, ছায়ার নাচন
বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকা
শত জলের তরঙ্গ, জলের কষ্ট, কখনো পথ ঘাটও ভাসায়।
চোখের জলের একটা নাম আছে, কান্নার জল
সে জলও ভাসায়, কখনো কাজল কালো চোখের কোল
কখনো বুক, কখনো বালিশ, নিরবে নিঃশব্দে
নিস্তরঙ্গ স্হির নদীর মত কখনো।
চোখের জল কখনো তরঙ্গিত হয়
ভাবা ভাবির কিছু নাই! হয়ত যখন কোনো খুব চাওয়ার প্রাপ্তি ঘটে
ভীষণ খুশির চোখের জলের নদীটাও
তখন বিপুল ভাবে তোঁলপাড় তরঙ্গিত হয়।
তখন মনে হয় কান্না হোকনা আরো একটু তরঙ্গ ময়!
তবু সেই জলের বুকে ছায়ার নাচন, বিমোহিত চোখ!
নিঃশব্দ ঝিমধরা দুপুরের উদাসি হাওয়ায় ভীষণ টানে
চোখের নদী উজার করে জলের ধারায় পানে