১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ২:৩৬

ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

সোনার সিলেট ডেস্ক
  • আপডেট বুধবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২১,

ব্যাটিং ব্যর্থতার পর শেষ সেশনে বাংলাদেশকে আশা দেখিয়েছিল সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট। কিন্তু দিনের ১৪ ওভার চার বল বাকি থাকতেই এই যুগলের লড়াকু জুটি ভাঙলে বড় বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষের দিকে কেউই আর দাঁড়াতে পারেনি। বাংলাদেশকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ করলো পাকিস্তান।

আজ বুধবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় মুমিনুল হকরা। আট রান বাকি থাকতেই ইনিংস ব্যবধানে জিতে যায় বাবর আজমরা।

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। চতুর্থ ওভারে হাসান আলীর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর এবার করেন ৬ রান। পরের ওভারের প্রথম বলেই আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামকে ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদি।

দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলের দায়িত্ব আসে নাজমুল হোসেন শান্তের কাঁধে। কিন্তু হতাশ করেন এই টপ অর্ডারের ব্যাটারও। ১১ বলে ৬ রান করে শাহীনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। বাংলাদেশের ব্যর্থতার সঙ্গে নিজের ব্যর্থতার ষোলকলাপূর্ণ করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। মাত্র ৭ রান করে হাসানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি, আপিল করেও শেষ রক্ষা হয়নি এই ব্যাটারের।

২৫ রানে চার ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন লিটন ও মুশফিক। এই যুগলের ব্যাটে প্রতিরোধের পথ খুঁজে পায় স্বাগতিকরা। মধ্যহ্ন বিরতি আগে ৪৭ রানের জুটি গড়ে প্রথম সেশন পার করার পর দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশকে হতাশ করেন লিটন (৪৫)। সাজিদ খানের বলে স্কয়ার লেগে থাকা ফাওয়াদ আলমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৭৩ রানের জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আগের ইনিংসে আট উইকেট পাওয়া এই স্পিনার।

সাত নম্বরে আসা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আবারও প্রতিরোধ গড়েন মুশফিক। এই জুটির দিকে চেয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু আবারও হতাশ হতে হলো। চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন মুশফিক। ১৩৬ বল মোকাবেলায় ৪৮ রান করে ফেরেন তিনি।

শেষের দিকে বাংলাদেশকে বিপদ মুক্ত করে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। এই জুটিতে দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়ে স্বাগতিকরা। এই যুগলের অর্ধশতক পেরোনো জুটি পেরোর পরই বাবর আজমের বলে লেগ বিফোর হন মিরাজ। ক্যারিয়ারে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের দেখা পান বাবর। ততক্ষণে লিড থেকে ১৭ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। পরের ওভারে সাকিবকে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন সাজিদ। ১৩০ বলে ৬৩ রান করে বোল্ড হন সাকিব। শেষের দিকে কেউই দাঁড়াতে পারেনি। ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। আট রান ও এক ইনিংস হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo