চেক প্রতারণার ৯টি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মো. রাসেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
তবে রাসেলের বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা থাকায় তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানান তার আইনজীবী আহসান হাবীব
তিনি বলেন, রাসেল গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনেক গ্রাহক বাদী হয়ে থানা ও আদালতে মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত রাসেল ১০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। তার জানা মতে, রাসেলের বিরুদ্ধে আরো তিনটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় রাসেল জামিন পাননি।
গত ৬ এপ্রিল ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের ছয় মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
ওই দিনই বিকেল পৌনে ৬টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন। আদালত বাদীর সঙ্গে আপস মীমাংসার শর্তে বিভিন্ন সময়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রাসেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিভিন্ন পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি। তাদের চমকদার অফারের প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়।
কিন্তু মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও তাদের অনেকে পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি।
এভাবে প্রলোভনে পড়ে ব্যাংক ঋণ, ধার-দেনা করে, জমি বা গয়না বেচে সেই টাকা ইভ্যালিতে লগ্নি করে এখন মহাবিপদে আছেন বহু গ্রাহক।
এরকমই এক গ্রাহকের করা মামলায় গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
আট মাস কারাবাসের পর সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে গত ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন।