নাশকতার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি, জামিনে বেরিয়ে পালিয়ে যান লন্ডনে। সেখানে বসেই নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছিলেন ঢাকার সিএমএম কোর্টে। গত সপ্তাহে এ ঘটনা চিহ্নিত হবার পর বিজ্ঞ আদালত জামিন বাতিলের নির্দেশ দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আসামীর বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পল্টন থানার নাশকতার মামলায়, অভিযোগপত্রে আসামি হন বিএনপি-কর্মী নাসরিন উল্ল্যাহ। মার্চে হাইকোর্টে এক বছরের জামিন পেয়ে পালিয়ে যান লন্ডনে।
তবে লন্ডনে বসে ঢাকার সিএমএম কোর্টে দিচ্ছিলেন প্রক্সি হাজিরা। ২০১৯ সালে ৯ সেপ্টেম্বরের নথি বলছে, বেলবন্ড সই করে উপস্থিত ছিলেন আদালতে। ৫ হাজার টাকায় জামিনদার হন আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল, সাক্ষী কামরুজ্জামান সুমন।
কিন্ত তার ফেসবুক পেজ অনুয়ায়ী তার অবস্থান সেদিন লন্ডনে। তারেক রহমানের অনুষ্ঠান লাইভ করেছে প্রায় ৩৬ মিনিট। বসা ছিলেন সামনের সারিতে।
নাসরিনের কাবিননামা, মামলার এজাহার ও উচ্চ আদালতের জামিনের নথিতে স্বামীর নাম আহসান উল্ল্যাহ। তবে পাসপোর্টে তা মওসুদুল আলম চৌধুরী। কিন্তু অপরিবর্তিত আছে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের তথ্য, সর্বশেষ ২০২১-এর ১৩ জানুয়ারি দেশ ছাড়েন নাসরিন। এর আগে ২০১৬ সাল থেকে সাতবার যাওয়া-্ আসা করেন লন্ডন- ঢাকা্-লন্ডন।
২০১৯-এর ৯ মার্চ, ১৫ মে, দোসরা ডিসেম্বর ও ২০২০-এর ৫ ফেব্রুয়ারি ও ৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতের খাতায় তার হাজিরার সই আছে। তবে পাসপোর্টের সইয়ের সাথে ওই ৫ দিনের হাজিরা খাতার সইয়ের মিল নেই। এমনকি ৫ দিনের সইও ভিন্ন রকম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু বলছেন, ‘এটি আদালতে জামিন-জালিয়াতির একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এঘটনা আদালত অবমাননার সামিল।’
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাসরীনের আইনজীবী কামরুজ্জামান সুমন ও আবুল কালাম আজাদ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাথে কথা বলতে রাজি হননি ।
এ ঘটনায় মানহানির মামলা করার হুমকি দেন আসামির আইনজীবীরা।