১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৬:৩৮

ডায়াবেটিস হয়েছে জানবেন কীভাবে?

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট শনিবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২,
  • 118 বার পঠিত

শতকরা ৫০ শতাংশ মানুষ জানতেও পারেন না যে তারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন। অন্য কোনও অসুস্থতার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে তার ডায়াবেটিস আছে। এর কারণ হচ্ছে রক্তে সুগার অনেক বেশি বেড়ে না গেলে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় না। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে গলা শুকিয়ে যায় বা বারবার পানির পিপাসা পায়, ওজন কমে যায়, প্রস্রাবের চাপ হয় বারবার, ক্লান্তি বা দুর্বলতার মতো লক্ষণগুলো দেখা দেয়। ঘন ঘন শরীরে ইনফেকশন হওয়াও ডায়াবেটিসের লক্ষণ। কারণ, ডায়াবেটিস হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তবে যখন রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, তখন তেমন কোনও লক্ষণই দেখা যায় না।
কখন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করবেন?
যেহেতু ডায়াবেটিস উপসর্গহীন থাকে অনেক দিন পর্যন্ত, সেহেতু জটিলতা এড়াতে সচেতন থাকতে হবে আমাদেরই। চল্লিশ বছর বয়স হয়ে গেলে সবাইকেই বছরে একবার নিয়মিত রক্তের শর্করা মেপে নেওয়ার পরামর্শ দেন ডা. তানজিনা। যারা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের এই পরীক্ষা করাতে হবে আরও আগেই। যাদের ওজন বেশি তাদের ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। এছাড়া বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে বা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলেও রোগটি পরবর্তীতে ফিরে আসার ঝুঁকি থেকে যায়। এসব ক্ষেত্রে বয়স ত্রিশ হলেই নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

আজকাল কম বয়সে কেন হচ্ছে ডায়াবেটিস?

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডায়াবেটিস বাড়ার হার পাকিস্তান ও বাংলাদেশে। অনেক তরুণও আজকাল আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবেটিসে। এর কারণ কী? ডা. তানজিনা হোসেন বলেন, ‘আগে আমরা মনে করতাম উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস বয়স্কদের রোগ। তবে আজকাল অনেক কম বয়সেও এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এটার বড় কারণ আমাদের জীবনযাপনের পরিবর্তন। আমরা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। শিশুরা অনেক ছোট থেকেই বার্গার, চিকেন ফ্রাই, কোল্ড ড্রিংক খাচ্ছে। এতে ওজন বেড়ে যাচ্ছে তাদের। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও।’

এছাড়া কায়িক শ্রমের পরিমাণ কমে যাওয়ার ডায়াবেটিসের রোগী বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং ক্যালোরি বার্ন না করার কারণে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে দিন দিন।

কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ডায়াবেটিস?

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আমাদের সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত। কিডনির রোগ, চোখের সমস্যা, হৃদরোগ, স্ট্রোক, পায়ে গ্যাংগ্রিনসহ নানা জটিল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। ডা. তানজিনা জানান, তিন মাধ্যমে আমরা এই রোগকে কব্জায় রাখতে পারি। প্রথম মাধ্যম হচ্ছে ডায়েট। সুষম খাবার খেতে হবে ডায়াবেটিক রোগীকে। খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা মানে খাবার বাদ দেওয়া নয়। সঠিক খাবার সঠিক সময়ে খাওয়াটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয় মাধ্যম হচ্ছে শারীরিক পরিশ্রম করা। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট বা প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। সেটা হতে পারে হাঁটা, সাঁতার বা সাইকেল চালানো।

তৃতীয়ত, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা গ্রহণ করা। চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খাওয়া, নিয়মিত চেকআপ করা ও সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি আমাদের এই রোগের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ

Rokomari Book

© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo