আগে হাজরে আসওয়াদ একখণ্ড ছিলো। কারামাতা সম্প্রদায় ৩১৯ হিজরিতে পাথরটি উঠিয়ে নিজেদের অঞ্চলে নিয়ে যায়। ওই সময় পাথরটি ভেঙে ৮ টুকরো হয়ে যায়। এ টুকরোগুলোর সবচেয়ে বড়টি খেজুরের মতো। টুকরোগুলো বর্তমানে অন্য আরেকটি পাথরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যার চারপাশে দেওয়া হয়েছে রুপার বেষ্টনী। তাই রুপার বর্ডারবিশিষ্ট পাথরটি চুম্বন নয় বরং তাতে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদের টুকরোগুলো চুম্বন বা স্পর্শ করতে পারলেই শুধু হাজরে আসওয়াদ চুম্বন বা স্পর্শ করা হয়েছে বলে ধরা হয়।
হাজরে আসওয়াদের পাশে ২৪ ঘণ্টা উপস্থিত থাকে সৌদি পুলিশ। তারা খেয়াল রাখেন, বেষ্টনীতে মাথা ঢোকাতে বা চুম্বন করতে কারো যেন কষ্ট না হয়।
এক হাদিসে এসেছে, ‘রুকন (হাজরে আসওয়াদ) ও মাকামে ইবরাহিম- জান্নাতের ইয়াকুত পাথরগুলোর মধ্য থেকে দু’টি পাথর। আল্লাহ যেগুলোকে আলোহীন করে দিয়েছেন। যদি তিনি এসবকে আলোহীন না করে দিতেন, তবে তা পূর্ব-পশ্চিমকে আলোকিত করে দিত। ’ –তিরমিজি
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় ওই দু’টিকে (হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানি) স্পর্শ করার দ্বারা গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। ’ –সুনানে নাসাঈ
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে বলেন, ‘আল্লাহর কসম, হাজরে আসওয়াদকে আল্লাহ কেয়ামতের দিন পুনরুত্থান করবেন। তার থাকবে দু’টি চোখ যা দিয়ে সে দেখবে, আর থাকবে একটি জিহ্বা, যা দিয়ে সে কথা বলবে। যে তাকে চুম্বন বা স্পর্শ করবে, তার পক্ষে সে কেয়ামতের দিন সাক্ষী দেবে। ’ –আহমদ
পবিত্র কাবা শরিফের অন্যতম আকর্ষণ হাজরে আসওয়াদ। এই পাথরে চুমু দিয়ে হজ ও ওমরাপালনকারী মুসলিমরা অশেষ প্রশান্তি অর্জন করেন।
হাজরে আসওয়াদকে ২৪ ঘণ্টা পাহাড়া দিয়ে রাখা হয়। প্রহরীরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখেন হাজরে আসওয়াদ ও এর আশপাশে সমবেত হওয়া অগণিত মুসলিমের দিকে। সেই সঙ্গে হাজরে আসওয়াদে সঠিকভাবে চুমু খেতে হবে কিভাবে তাও দেখিয়ে দেন। যারা হাজরে আসওয়াদে চুমু খেতে চান তাদেরকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও তাদের