বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ঘরের মাঠে জয় পেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান উসমান খান। এরপর ক্রিজে আসা আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার মেহেদী মারুফ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮৮ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন মেহেদী মারুফ। দলীয় ৮৮ রানে ২৭ বলে ৩৪ রান করে আউট হন আফিফ হোসেন। আফিফের বিদায়ের পর পরই আউট হন মেহেদী মারুফ।
দলীয় ৯০ রানে ৪০ বলে ৫২ রান করে ফিরে যান মেহেদী। এরপর দলীয় ৯১ ও ৯৭ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় চট্টগ্রাম। ৩ বলে ১ রান করে ম্যাক্স ও’ডাউড ও ৪ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান কার্টিস ক্যাম্পার।
এরপর ইরফান শুকুর ও অধিনায়ক শুভাগত হোম মিলে রানের চাকা সচল রাখেন। তবে দলীয় ১২৭ রানে ফের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ৬ বলে ৯ রান করে আউট হন ইরফান শুকুর। এদিন মৃত্যুঞ্জয়কে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন শুভাগত হোম। ২৬ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুভাগত ২৯ বলে ৫৪ ও মৃত্যুঞ্জয় ১২ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সিলেটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার নাজমুল শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৬৩ রানে ১৮ বলে ১৫ রান করে আউট হন হৃদয়।
এরপর ক্রিজে আসা মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন নাজমুল শান্ত। ৩৬ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন শান্ত। তবে দলীয় ১১০ রানে ৪৪ বলে ৬০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান শান্ত। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন রায়ান বার্ল। রায়ান বার্ল ও মুশফিক ব্যাটিং তাণ্ডব চালান। তবে দলীয় ১৫৮ রানে ১৬ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর ক্রিজে আসা জাকিরকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। জাকির ৫ বলে ১২ ও মুশফিক ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয় সিলেটের।
সিলেটের পক্ষে ইমাদ ওয়াসিম ২টি, আমির ও মাশরাফি নেন ১টি করে উইকেট। অন্যদিকে চট্টগ্রামের পক্ষে বিজয়কান্ত ২টি ও নিহাদুজ্জামান নেন ১টি উইকেট।