৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সকাল ১০:৫৪

সোমবার সব জেলা ও মহানগরে বিএনপির সমাবেশ

সোনার সিলেট ডেস্ক
  • আপডেট শনিবার, জুলাই ২৯, ২০২৩,

রাজধানীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ন্যক্কারজনক হামলা, অত্যাচার নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার (৩১ জুলাই) সারাদেশে সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীকালই আমরা প্রতিবাদের দিন হিসেবে পালনের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি আগামীকাল সারকারি দল রাজপথে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা তাই তাদের মতো একই দিনে কর্মসূচি দিয়ে সংকট সৃষ্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করবো এই গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের ডাকা আজকের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য সরকার জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং দলীয় সন্ত্রাসীদের অন্যায় ও বেআইনিভাবে জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে রাজধানী ঢাকায় যে তাণ্ডব চালিয়েছে আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিনা উস্কানিতে প্রতিবাদী জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গুলি, টিয়ারগ্যাস চালানো এবং স্বশস্ত্র আক্রমণ মিডিয়া ও সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখে দেশ-বিদেশের জনগণ এই স্বৈরাচারী সরকারের অবৈধ ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখার বীভৎস অপপ্রয়াস দেখে স্থম্ভিত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের নির্মম আক্রোশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাথায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হওয়া এবং অগণিত নেতাকর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে যে, ক্ষমতালোভী এই সরকারের হাতে দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ নন। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারী এই সরকার আজ জনগণের শুধুই ঘৃণা ও ধিক্কার পাওয়ার যোগ্য।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি এবং সরকার দলীয় বাহিনীর বেআইরি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা জনগণের রয়েছে। কিন্তু সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ফলে যে অবাঞ্চিত ও মর্মান্তিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো আমরা তা বরাবরই পরিহার করতে চেয়েছি এবং আজও করেছি। এটা আমাদের দুর্বলতা নয়, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা। কিন্তু নিশি রাতের অবৈধ সরকারের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, আমাদের এই দেশটা স্বাধীন হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, জীবন দিয়েছি গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের জন্যও। গত ১৪ বছর হাজারো নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, গুমের শিকার হয়েছেন শত শত, নির্যাতিত হয়েছেন কয়েক হাজার। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্র চাই বলেই এত কিছুর পরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেই আছি আমরা। কিন্তু সব কিছুরই একটা সীমা থাকে। আশা করি সরকার সেটা মনে রাখবে।’

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফার দাবিতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থক দ্বারা হামলা, গ্রেপ্তার ও মামলার বিবরণ প্রকাশ করেন।

শনিবার সকাল থেকে বিকাল ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এই কর্মসূচির স্থান ছিল পুরান ঢাকার নয়া বাজার, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী এবং আবদুল্লাহপুর। তবে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধার মুখে কোথাও অবস্থান নিতে পারেনি দলটির নেতাকর্মীরা।

বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ন কমিশনার মেহেদি হাসানসহ ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া সংঘর্ষকালে ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo