সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলছিল।
গতকাল সোমবার বিকেলে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বজনেরা হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুরের পাশাপাশি দায়িত্বরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে ২৩০ জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কর্মরত আছেন। সবাই কর্মবিরতিতে আছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কর্মবিরতির বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে আজ দুপুর ১২টায় বৈঠকে বসবে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল রাতেই হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার রওশন হাবিব চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় পুলিশের হাতে গতকাল আটক হওয়া রোগীর চার স্বজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ, ইসিজি যন্ত্র, চেয়ার, টেবিলসহ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাঙচুর করেছেন বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সুচিকিৎসা না পেয়ে ওই রোগী মারা গেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক আছে। আশা করা যাচ্ছে, তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেবেন। আর চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।