কুয়াকাটা সৈকতে গেলে এখন আর অপরিচ্ছন্ন, ময়লা-আবর্জনা ও বোতল পর্যটকদের চোখে পড়বে না। সৈকত এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে। সপ্তাহে নিয়ম করে দুবার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
সম্প্রতি ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন সৈকতের ব্যবসায়ীদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করে সৈকতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
রোববার সকালের দিকে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী ও কুয়াকাটা জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য দুই ঘণ্টাব্যাপী কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের দুদিকে এক কিলোমিটার এলাকা পরিচ্ছন্নতায় নামেন। এ সময় আগত পর্যটকরাও এসব কার্যক্রমে অংশ নেন।
সৈকত পরিচ্ছনতায় অংশ নেওয়া ঢাকা থেকে আসা পর্যটকরা বলেন, শুধু ফটোসেশন করে লাভ হবে না, পরিচ্ছনতা শুরু হোক নিজ থেকে। তাদের মতে, কুয়াকাটা সৈকতে এর আগেও তারা এসেছেন। কিন্তু সৈকতের এখনকার পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম হলে পর্যটকরা স্বস্তি পাবেন। এ ছাড়া একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য সৈকতে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেন তারা।
পর্যটক জানান, সৈকত পরিচ্ছনতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন কার্যক্রমের কথা জেনে তিনি বলেন, রুটিন করে সৈকত পরিচ্ছনতায় নামা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
সৈকতের ক্যামেরাম্যান বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের আয়োজনে সব কিছুই সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সিনিয়র এএসপি সোহরাব হোসাইন বলেন, এখন থেকে সপ্তাহে দুদিন করে সৈকত পরিচ্ছন্নতায় নামা হবে। কুয়াকাটাকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে কাজ করে যাবে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এসএসডিসি/বিএম