কাটার মাস্টারের কাটারে নাকি ধার কমেছে, ধেয়ে আসা গুঞ্জন এই সিরিজ দিয়েই এক ঝটকায় উড়িয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিন ম্যাচের তিনটাতেই শুরুতে ব্রেক থ্রু দিয়েছেন, পুরোনো বলেও উইকেট বাগিয়েছেন। ৩ ম্যাচে পেস অ্যাটাকের নেতার ফর্মে ফেরাটা টাইগার ক্রিকেটের জন্যই খুশির সংবাদ।
এই সিরিজেই অভিষেক হয়েছে হাসান মাহমুদের। প্রথম দুই ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে এই তরুণ তুর্কিও নজর কেড়েছেন।
জানা ছিল ফিজের মতই একাদশে অটোমেটিক চয়েজ সাইফউদ্দিন। তবে, সুযোগ পান নি প্রথম দুই খেলায়। তৃতীয়টায় ফিরেই পেলেন তিন উইকেট, জানান দিলেন আছেন ফর্মেই। তামিম বললেন, প্রথম দুই ম্যাচে ওর না খেলার কারণটা ইনজুরি।
স্পিনাররাই বা কম যায় কিসে? সিরিজের সেরা উইকেটশিকারির তালিকায় দুই টাইগার স্পিনারই টপে। প্রথমটায় ৮ রানে ৪ উইকেট পেয়ে ম্যাচসেরা সাকিব, দ্বিতীয়টায় ২৫ রানে ৪ উইকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং মিরাজের, বনেছিলেন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচও।
পরিসংখ্যানে তাকালে খুশি না হয়ে উপায় নাই। ৩ ম্যাচে মিরাজের সর্বোচ্চ ৭ উইকেট। মুস্তাফিজের ৬ শিকার, সাকিবেরও তাই। তিনজনেরই ইকোনমি আবার ছিল তিনেরও নিচে।
কি পেইস, কি স্পিন বোলিং বিবেচনায় পারফেক্ট একটা সিরিজ কাটিয়েছে টাইগাররা। ভিন্ন কন্ডিশনের নিউজিল্যান্ডে পরের অ্যাসাইনমেন্ট হলেও আত্ববিশ্বাসটা কাজে দেবে ঠিকই।
এসএসডিসি/বিএম