সিলেট মহানগরের অলি-গলি বা মূল সড়কে হর হামেশাই চলছে দ্রুত গতির ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা। সিলেট মহানগরে দিন দিন বেড়েই চলেছে ব্যাটারি চালিত রিকশার দাপট। বেপরোয়া এসব রিকশার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। অদক্ষ চালকের কারণে যেখানে-সেখানে ইউটার্ন নেয়া ও যাত্রী ওঠানো-নামানোতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এসব ইজিবাইকের বেশিরভাগ চালক হচ্ছেন কিশোর। যদিও আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তবুও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নাকের ডগায় সড়কে দাপটে চালচল করছে ইজিবাইক।
আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তবুও সিলেট বার বার পদক্ষেপ নিয়েও বন্ধ করা যায়নি অবৈধ ব্যাটারি বা মোটরচালিত রিকশা। এককভাবে তো নয়-ই, সিলেট সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন সময়ে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েও মহানগর থেকে পুরোপুরি উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে এসব অবৈধ রিকশা। কয়েকটি মূল সড়কে না চললেও মহানগরজুড়ে কয়েক হাজার ব্যাটারি বা মোটরচালিত রিকশা চলাচল করে।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগরে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রংচটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চলাচল বন্ধ করা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এই বিজ্ঞপ্তির পর সিলেটেও ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা বন্ধে কঠোর হওয়ার কথা জানালো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিলেট ট্রাফিক বিভাগ বলছে, ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা বন্ধে প্রায়ই অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সাথে জরিমানও করা হচ্ছে। অভিযান পরিচালনা করে ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা আটক করা হলে ১৫দিনের জন্য জব্দ করা হচ্ছে। তবুও বন্ধ করা যাচ্ছে না এসব ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন- দ্রুত গতির বেপরোয়া এসব রিকশার কারণে মহানগরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। অদক্ষ চালকের কারণে যেখানে-সেখানে ইউটার্ন নেয়া ও যাত্রী ওঠানো-নামানোতে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকেই আমরা এসব নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। আটকের পর রিকশার ব্যাটারি খোলে দেওয়া হচ্ছে। তবু্ও এসব রিকশা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মহানগরবাসীর সুবিধার্থে এসব ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা বন্ধে কঠোরভাবে মাঠে নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ। দ্রুত মহানগরকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটারি-মোটর চালিত রিকশা মুক্ত করা হবে।