গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর মামুনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা বরামা সিংহশ্রী সংযোগ সেতুর পাশে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান দেখতে পাওয়া যায় লাশটি। পরে পুলিশ এসে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। মামুন (২৫) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, মামুনের স্বজনরা নদীর তীরে নৌকা নিয়ে খুঁজতে থাকেন। এরপর ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বরামা সিংহশ্রী ব্রিজের পাশে অল্প কচুরিপানার ভেতর লাল গেঞ্জি পরা লাশটি ভাসমান দেখতে পান তার স্বজনরা। এরপর পুলিশ এসে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত মামুনের বড়ভাই মাসুম বলেন, আমার ভাইয়ের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভাইকে পুলিশ অনেক মারধর করেছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, নদী থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে। তার বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত রোববার আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা বলে তাকে ধরতে যায় পুলিশ। আত্মরক্ষার্থে সে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
এদিকে নিহত মামুনের বড়ভাই মাসুম মিয়া বাদী হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশের সোর্স রওশনসহ ৪ জনের নামে গত সোমবার শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল রোবার বিকালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে পালিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় যুবক মামুন। এরপর গত সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের টঙ্গী স্টেশনের চার সদস্যের একটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে তার সন্ধান পায়নি।