যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তিন বছর বয়সী শ্যালককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে আবু বকর ফরিদ নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ মৃত শিশু রেহানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। আটক আবু বকর ফরিদ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল জঙ্গলবাড়ী এলাকার মীর সাঈদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদ মাদকাসক্ত। পুলিশ বলছে, আবু বকর ফরিদের ভাষ্য মতে, তিনি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার চরকাটারি গ্রামের ওমর বার্বুচির মেয়েকে বিয়ে করেন। সম্প্রতি শ্বশুরের কাছে কিছু টাকা দাবি করেছিলেন। শ্বশুর টাকা না দেওয়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিন বছর বয়সী শ্যালক রেহানকে অপহরণ করেন। এরপর তাকে বাসযোগে যশোর নিয়ে আসেন। পথে বাসের মধ্যেই মুখ চেপে শ্যালককে নানাভাবে আঘাত দিয়ে জখম করেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রেহানকে দুপুর ১২টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে নিজের সন্তান পরিচয়ে ভর্তি করেন। ভর্তির কিছু সময় পর রেহান মারা যায়। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা আবু বকর ফরিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর তিনি ওই শিশুকে অপহরণ করে নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা আজ সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। আবু বকর ফরিদকে আটক করা হয়েছে। তাকে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হবে।