বিআরটিএ সিলেট অফিসে জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (বি-১৪১৮) এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে বিআরটিএ অফিসের সামনে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
এই সভা থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিআরটিএ সিলেটের সহকারী পরিচালক সানাউল হক ও রেকর্ড রুমের কর্মচারী দেলোয়ারকে সিলেট থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। অন্যথায় রোববার সকাল থেকে সিলেটে পরিবহন কর্মবিরতি পালন করা হবে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বিআরটিএ সিলেট অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। পরিবহন সেক্টরের শ্রমিকদের সেবার পরিবর্তে তারা পকেট কাটার ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বুধবার বিআরটিএ সিলেট অফিসে জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লাঞ্চিত হয়েছেন। এর পরিনতি ভালো হবেনা।
বক্তারা বলেন, বিগত দিনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সানাউল হক যেসব দাবী মানার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন, তার একটিও তিনি রাখেননি। উল্টো পরিবহন শ্রমিকদের সাথে বাজে আচরণ করেছেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সহকারী পরিচালক সানাউল হক ও কর্মচারী দেলোয়ারকে সিলেট অফিস থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
অন্যথায় শ্রমিকদের দাবী আদায়ের স্বার্থে রোববার সকাল থেকে সিলেট জেলায় বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হবে বলে সভায় জানানো হয়।
তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত আবুল, প্রচার সম্পাদক হারিছ আলী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ, সদস্য মকবুল হোসেন বাদল, জসিম উদ্দিন প্রমূখ।
প্রতিবাদ সভায় সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘বিআরটিএ সিলেট অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না। চালকদের লাইসেন্স নবায়ন করতে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়। পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বিষয়ে আইনের ভিতরে থেকে সহযোগিতার জন্য বিআরটিএ নেতৃবৃন্দ কোন অনুরোধ করলে তা উপেক্ষা করা হয়। আবার সেই কাজ টাকা দিলে সময়ের আগেই হয়ে যায়।’
ময়নুল বলেন, ‘বুধবার আমরা একটা জরুরী বিষয়ে আমি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে বিআরটিএ অফিসে গিয়েছিলাম। সেখানে জেলা প্রশাসকের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডোপ টেস্ট মেশিন বসানোর আগে নবায়নযোগ্য লাইসেন্স জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু বিআরটিএ অফিস সেটা গ্রহণ করছেনা। আবার ঘুষ দিয়ে দালালের মাধ্যমে জমা দিলে ঠিকই জমা নেয়া হয়। এই বিষয়ে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সানাউল হকের সাথে আলাপ করতে গেলে আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়।’