বাংলাদেশী পাসপোর্টের মান আবারও দুর্বলতম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের মান নির্ধারণকারী সূচক ‘হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স-২০২২’ এর দ্বিতীয় এডিশনে উঠে এসেছে এই তথ্য। সম্প্রতি সূচকটি প্রকাশ করা হয়। বছরের বিভিন্ন সময় বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের ইনডেক্স প্রকাশ করে বৈশ্বিক নাগরিকত্ব ও অভিবাসনবিষয়ক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস।
প্রতিষ্ঠানটির করা গেল বছরের চতুর্থ সংস্করণেও বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ছিল তলানির দিক থেকে ৯ম।
একটি দেশের পাসপোর্টে কতটি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়— তার ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয় ‘হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স’। সূচকে স্থান পাওয়া ১১২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ১০৪তম। একই অবস্থানে থাকা অন্য দুটি দেশ হচ্ছে কসোভো ও লিবিয়া।
বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা আগে থেকে ভিসা ছাড়া বিশ্বের ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে কেবল ৪০টিতে যেতে পারতেন।
সূচকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্তভাবে যে ৪০টি গন্তব্যে যেতে পারেন তার ১৫টি আফ্রিকায়, ১১টি ক্যারিবীয় দেশে, ৭টি ওশেনিয়ায় (অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ছাড়া), ৬টি এশিয়ায় এবং ১টি দক্ষিণ আমেরিকায়। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসামুক্তভাবে ইউরোপের কোনো দেশে প্রবেশ সম্ভব নয়।
এদিকে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে থাকা জাপান ও সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে ১৯২টিতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন।
যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্টে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায় বিশ্বের ১৮৯টি গন্তব্যে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট মালদ্বীপের (৬০তম)। মালদ্বীপের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ৮৮টি দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পেয়ে থাকেন। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ভারত ( বিশ্বে ৯০তম), ভুটান (৯১তম) এবং শ্রীলঙ্কা (১০৩তম)।
দক্ষিণ এশিয়ায় পঞ্চম স্থানে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান বিশ্বে ১০৪তম। এর পরের অবস্থানে রয়েছে নেপাল (১০৬তম) এবং পাকিস্তান (১০৯তম)।
দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশ্ব সূচকে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তানের পাসপোর্ট। আফগানিস্তানের পাসপোর্টধারীরা মাত্র ২৬টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারেন।