একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছড়াকার ও সাংবাদিক আবু সালেহর ৭৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৮ সালের ২২ জুলাই মাগুরার দ্বারিয়াপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু। ছড়া লেখা শুরু করেন ষাটের দশকের শুরু থেকে। প্রথম লেখা প্রকাশ হয় রমনা মুকুল ফৌজের দেয়াল পত্রিকায়, ১৯৫৪ সালে। ১৯৬৫ তে ছড়াকে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রচলিত আঙ্গিক ও উপস্থাপনা সমাজ সচেতনতা এবং তৎকালীন স্বৈরাচারী আইয়ূববিরোধী আন্দোলনমুখী করে তোলেন। ছড়ায় সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ স্বৈরাচার বিরোধিতা ইত্যাদি কারণে তৎকালীন পুলিশ ও সরকারি প্রশাসন যন্ত্রের শিকার হয়ে হুলিয়া প্রাপ্ত হন। ১৯৬২ থেকে ৭০ সাল পর্যন্ত সব আন্দোলন-সংগ্রামে সরাসরি অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় ১০০।
তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত আছেন। ইত্তেহাদ, দৈনিক দেশ, হক কথা, দৈনিক খবর, জনতা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ আরো অনেক সংবাদপত্রে তিনি কাজ করেছেন। ১৯৮০ সালের ২৩ মে খন্দকার মোশতাক আহমেদের জনসভায় বোমা হামলায় আহত হন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহুবার পুলিশি এবং রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯৮৭ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বাংলামটরে স্বৈরাচারী এরশাদের পেটোয়া বাহিনী তার হাতের কব্জি এবং পাঁজরের হাড় ভেঙে দেয়।
প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে, পল্টনের ছড়া (১৯৭৪),তাড়িং মাড়িং (১৯৭৮) গ্রামের নাম চৌগাছি (১৯৭৮), চিরকালের খোকা, এক বাংলার ছড়া, সেই ছেলেটি ছুটল (বাংলা একাডেমি),আমার কথা ছড়ার কথা, খুকু যদি হাসে, হাতির পায়ে নূপুর, ধোলাই ছড়া প্রভৃতি। আজকের জন্মদিনটি তিনি পারিবারিকভাবে পালন করবেন। ৭৬তম এ জন্মদিনে তিনি সকলের নিকট দুআ প্রার্থী।