সিলেট সদর থানা পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে সিলেটে উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দীন চৌধুরি মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল, কুরিয়ার সার্ভিস অফিস এবং গোডাউনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দীন চৌধুরি ও তার ৫জন সহযোগীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় সদর থানার ওসি জনাব সহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আমরা সংবাদপত্র ও গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে সিলেট সদর থানা ও সিলেট জেলা পুলিশের সহায়তায় যৌথ উদ্যোগে উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দীন চৌধুরির আবাসিক হোটেল, কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি অফিসে অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে প্রায় ১৫ কেজি গাঁজা, ৮০ বোতল দেশি- বিদেশি অবৈধ মদ, ১০৫ বোতল ফেনসিডিল, ৩০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ কেজি ড্যান্ডি, ৩৫ কেজি কোকেনসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচজন হোটেলের কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কুরিয়ার সার্ভিসের আড়ালে মাদক পাচারের কথা স্বীকার করে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক ওয়ার্ড কমিশনারের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাজমুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালালে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দীন চৌধুরির বাসা তল্লাশি করে ৫০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ বোতল অবৈধ মদ, ২৯ রাউন্ড গুলি, ১টি বিদেশি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার একজন সহযোগীসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো সিলেট সদরের রফিক মিয়ার ছেলে জাবেদ (৪০), কাদের মিয়ার ছেলে আমির (৩৫)। চিন্তামনী গ্রামের আমিনুলের ছেলে হাসেম (৪২), দোয়ার বাজারের আকবরের ছেলে শোয়েব (২২), তিতাসপুর গ্রামের মোঃ আলির ছেলে হামিদ (২৬), জগন্নাথপুরের তবারকের ছেলে তারেক (৪৫)।
ওসি সহিদুর রহমান জানান, পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলা কার্যক্রম পরে তাদেরকে কোর্টে চালান করা হবে। তিনি জানান তাদেরকে রিমান্ডে পাঠালে মাদক সংশ্লিষ্টতার গডফাদারসহ আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।