২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ২:০৪

জকিগঞ্জ-গোলাপগঞ্জে নৌকার ভরাডুবি

সোনার সিলেট ডটকম
  • আপডেট রবিবার, জানুয়ারি ৩১, ২০২১,

সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীতে ধরাশায়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা। শুধু পরাজয়ই নয়, নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরা মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও আসতেই পারেন নি।এছাড়া প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় হারিয়েছেন জামানত।

তারা হলেন, গোলাপগঞ্জের নৌকা প্রতীকে নিয়ে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ রুহেল আহমদ। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১৭৫টি। অপরজন জকিগঞ্জে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. খলিল উদ্দিন। তার প্রাপ্ত ভোট ৬৬৯টি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদত্ত মোট ভোটের আট ভাগের মধ্যে এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

একই অবস্থা বিএনপির প্রার্থীদেরও। এ দুটি পৌরসভায় ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীরা আসতেই পারেন নি মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এরমধ্যে জকিগঞ্জ পৌরসভায় ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীও জামানত হারিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার তৃতীয়ধাপে সিলেটের এই দুই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় ২২ হাজার ৯১৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৫ হাজার ৭৯৬ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছেন। এ হিসেবে ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটপ্রয়োগ হয়। গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় ৫ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়েছে জয়ী হয়েছেন জগ প্রতীকে নিয়ে নির্বাচন করা মো. আমিনুল ইসলাম রাবেল।

এছাড়া মোবাইলফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা জাকারিয়া আহমদ পাপলু পেয়েছেন ৪৫৪৮ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ৪ হাজার ২২২ ভোট আর নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মো. রুহেল আহমদ পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ১৭৫ ভোট। ভোটের হিসেবে চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সবশেষ অবস্থান তাঁর। এর বাইরে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদত্ত মোট ভোটের আট ভাগের মধ্যে এক ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে জামানত ঠিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন ২০০৭ ভোট। কিন্তু মো. রুহেল আহমদ পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ১৭৫ ভোট। এ হিসেবে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

একই অবস্থা সিলেটের জকিগঞ্জে। এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। পৌরসভায় ১২ হাজার ৩৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ৭৪০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

সীমান্তবর্তী এ পৌরসভায় ভোট প্রদানের হার ৭৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এখানে প্রদত্ত মোট ভোটের আট ভাগের মধ্যে এক ভাগ ভোট হলো ১২১৮ টি। তবে এ পৌরসভায় ৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মো. খলিল উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬৬৯ ভোট।

এর বাইরে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা আব্দুল মালেক ফারুক পেয়েছেন ৭৫৯ ভোট, আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরা চামচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৫ ভোট, ইকবাল আহমদ তাপাদার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬০৭ ভোট এবং মো. জাফরুল ইসলাম হ্যাঙ্গার প্রতীকে পেয়েছেন ১১৫৬ ভোট। জামানত টিকিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত ভোট না পাওয়ায় এ চার মেয়র প্রার্থীরও জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

এ পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন মো. আব্দুল আহাদ। তিনি নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ২০৮৩ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক আহমদ জগ প্রতীকে পেয়েছেন ২০৮১ ভোট। অন্যদিকে মোবাইল ফোন প্রতীকে ১৯৮৫ ভোট পেয়েছেন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo