শুরু থেকেই ভুলপথে গাড়ি চালিয়েছিলো লন্ডন এক্সপ্রেস এর ড্রাইভার। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বারা বার ওভারটেইকিং করছিলো সে। যাত্রীরা কয়েকবার অনুরোধ করার পরও বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি। এর কারণেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনাটি ঘটলো। আর জীবন দিতে হলো ৮ জনকে।
লন্ডন এক্সপ্রেসের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে আসার পথে বার বার গাড়ির চালক অন্য গাড়িকে বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করছিলো। কয়েকবার আমরা সতর্ক করার পরও চালক আমাদের কথা শুনেনি। যে কারণে এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সিলেটের উপ পরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, গাড়ি সবসময় রাস্তায় বাঁ পাশ দিয়ে চলার কথা। কিন্তু দুর্ঘটনা কবলিত লন্ডন এক্সপ্রেস বাঁ পাশ ছেড়ে ডান পাশে চলে যায়। ডান পাশে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা এনা বাসকে ধাক্কা দেয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে খুব বেশি কুয়াশা ছিলো না। ধারণা করছি, ব্রিজ ক্রস করতে গিয়ে লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক স্ট্রিয়ারিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটি ভুল ট্র্যাকে চলে যায়। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তবে দুর্ঘটনার আসল কারণ পরবর্তীতে তদন্তে জানা যাবে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সকালে কুয়াশা তেমন একটা ছিলো না। গাড়ির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ওভারটেক করে এনা গাড়ির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। অথবা লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক ঘুমিয়েও থাকতে পারে। বিষয়টি পরে তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।