২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ১:০৭

টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১২১ শিক্ষক পদ ফাঁকা!

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট মঙ্গলবার, এপ্রিল ৫, ২০২২,

টাঙ্গাইল জেলার ১২ টি উপজেলায় ১৬২৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয় রযেছে। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে ৪০৭ টি এবং সহকারী শিক্ষক পদে ৭১৪ টি মোট ১১২১ টি পদ ফাঁকা রয়েছে। এতে পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে টাঙ্গাইলে প্রধান শিক্ষকের ১৬২৩ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ১২১৬ জন এবং সহকারী শিক্ষকের ৮৪৩৩ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭৭১৯ জন। দুই পদেই শূণ্য বা ফাঁকা রয়েছে ঘাটাইলে ১২৩, সখিপুর ৭২, গোপালপুরে ১৩১, বাসাইলে ৬৪, সদরে ৭০, দেলদুয়ারে ৮৫, মির্জাপুরে ১১৫, কালিহাতীতে ১০২, মধুপুরে ৬৮, নাগরপুরে ১৩৪, ভূঞাপুরে ৯৭ ও ধনবাড়ীতে ৬০ জন। সবচেয়ে বেশি কালিহাতী উপজেলায় ১৭০ টি স্কুলের মধ্যে ৮২ টিতে প্রধান শিক্ষক এবং মির্জাপুর উপজেলায় ৯৩ টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য।

সরেজমিনে জানা যায় করোনাকালীন বন্ধের প্রায় ২ বছর পর বিদ্যালয়গুলোয় ক্লাস শুরু হয়েছে। ফলে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা আনন্দিত। দীর্ঘ বন্ধের কারনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। এদিকে জেলায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকায় যথাযথ পাঠদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বহু বিদ্যালয় মাত্র ২ জন শিক্ষক দ্বারাও পরিচালিত হচ্ছে।   একজন অফিসিয়াল কাজ বাইরে গেলে স্কুলে থাকেন একজন শিক্ষক। ফলে তাদের অসুবিধার শেষ নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

যমুনা নদীর চরাঞ্চলে ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের জয়পুর পুংলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০১ জন ছাত্রছাত্রী। কিন্তু এ বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন ২ জন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন প্রধান শিক্ষক না থাকায় আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছি। আমি অফিসিয়াল কাজে উপজেলায় গেলে আমার একজন সহকারী শিক্ষক স্কুলে থাকেন। আমাদের কি যে বিপদ সেটা বলে বোঝাতে পারব না।

বাসাইল উপজেলার জীবনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মাহবুবা পারভান বলেন, ৫ জনের মধ্যে ৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাও আবার একজন প্রেষণের। আমি প্রেগনেন্ট। ভাবছি আমি ছুটিতে গেলে স্কুলটা চলবে কিভাবে?

দেলদুয়ারের মেরুয়াঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি কল্পনা সরকার। তিনি পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষিকা। তিনি বলেন, করোনায় অনেক ছাত্রছাত্রীরা ঝরে পড়েছে। আবার অনেকে স্কুল বিমুখ। সেখানে কোমলমতী বাচ্চাদের যত্নসহকারে পাঠদানের জন্য পরিপূর্ণ শিক্ষক প্রয়োজন। তা না হলে আমরা ভবিষতে ক্ষতিগ্রস্থ হবো। আমরা কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। সরকারের এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, জেলায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকায় কিছুটা হলেও পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। খুব বেশি শিক্ষক সংকটপূর্ণ স্কুলের পাশের স্কুল থেকে সংযুক্তি দিয়ে চালানোর চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ, আবার এরমধ্যে অনেকে অবসরে চলে গেছেন। আশা করি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo