১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ২:২৩

নগরীতে গোশত বিক্রি বন্ধ চাপ মুরগি’র দোকানে

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট শুক্রবার, এপ্রিল ৮, ২০২২,

সিলেট নগরীতে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি না হওয়ায় চাপ বেড়েছে মুরগির দোকানে। বিপাকে পড়েছেন রেস্টুরেন্ট, খাবার হোটেল ও পার্টি সেন্টারের মালিকরা। তারা কাস্টমারদের চাহিদা মেটাতে হিমিশিম খাচ্ছেন।

এদিকে সিলেট মহানগরীতে মাংস না পেয়ে বাইরে থেকে বেশি দামে সংগ্রহ করছেন। অনেকে সুনামগঞ্জ থেকে পর্যন্ত মাংস নিয়ে এসেছেন। অপরদিকে, সিলেটে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে নগরীর মুরগির দোকানগুলোতে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দোকানে বাড়তি দাম রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বৈঠকে সিলেট মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ গোশত বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেন। তাই বৃহস্পতিবার থেকে নগরীতে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি করছেন না মহানগরী এলাকার ব্যবসায়ীরা।

মাংস ব্যবসায়ীদের দাবি- সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্যে গোশত বিক্রি করে তাদের লোকসান হয়। বার বার দাবি জানিয়েও সিসিক বিক্রিমূল্য বাড়াচ্ছে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে মহানগরী এলাকায় গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের এ ধর্মঘট চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য।

এ বিষয়ে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার পালকি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জানান, কাস্টামারদের চাহিদা আমাদের পুরণ করতে হবে। তাদের কাছে আমরা প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা গোশত বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বেশ বিপাকে পড়েছি। সিসিক কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি, তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি দ্রæত সমাধান করা হোক।

পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার রেস্টুরেন্ট ‘গ্রান্ড বাফেট এন্ড বেনকুইট হল’র ম্যানেজার উজ্জ্বল আহমেদ বলেন, আমরা সিলেটে না পেয়ে সুনামঞ্জ থেকে গরুর গোশত নিয়ে এসেছি। কী করবো- কাস্টমারকে তো ফেরাতে পারবো না।

নগরীর কয়েকটি মুরগির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, লাল মুরগির পিস ৪০০-৪৫০, সোনালী ও কক মোরগের পিস আকার-ভেদে ১৮০-২৫০ ও কোয়েল পাখির পিস আকার-ভেদে ২৫-৩৫ টাকা।
রিকাবীবাজারের এক মুরগির দোকানি বলেন, গত কয়েকদিনের তুলানায় আজ বেচা-বিকি ভালো। তবে এখনও দাম বাড়ার খবর পাইনি। যদি পাইকার বা খামার থেকে আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয় তবে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হবে।

মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মহানগরী এলাকায় গরুর গোশত ৬০০ ও ছাগলের গোশত ৮৫০ টাকা নির্ধারিত করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা যে দামে গুরু বা ছাগল ক্রয় করি সে অনুযায়ী সিসিক নির্ধারিত দামে গোশত বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হয়।

আমরা গত এক মাস থেকে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসলেও সর্বশেষ সিসিক কর্তৃক ধার্যকৃত দাম ওই ৬০০ ও ৮৫০ টাকাই রেখে দেওয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বৃহস্পতিবার থেকে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি বন্ধ করে দিচ্ছি। আমরা লোকসান দিয়ে তো ব্যবসা করতে পারবো না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo