দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার পর চলতি বছরের জুনেই খুলে দেয়া হবে পদ্মাসেতু। পদ্মাসেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পাঁচ বছরের জন্য পেল চীন ও কোরিয়ার জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। অনলাইনে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে আজ এসব কথা জানান অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে, এখন অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হচ্ছে এ বছরই।
পাঁচ বছরের জন্য পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পেয়েছে যৌথভাবে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ও কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় সাতশ কোটি টাকা। তবে টোলের হার এখনো নির্ধারণ হয়নি।
অর্থমন্ত্রী জানান, সেতুতে চলাচলের জন্য টোলের হার এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে এই সেতুর টোলের টাকায় অন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী আরো জানান, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রপ্তানিসহ অনেক সূচক ইতিবাচক। সরকারের ঋণ ও জিডিপির অনুপাত অনেক কম। তাই শ্রীলঙ্কার মত দুরাবস্থায় পড়ার শঙ্কা নেই।
এদিকে অর্থনৈতিক বিষয় ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়। পাশ হয় বাকিগুলো। এতে ব্যয় হবে পৌনে দুই হাজার কোটি টাকা।