ছাতক ও দোয়ারাবাজার এলাকার সর্ব বৃহৎ নাইন্দার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে নাইন্দার হাওরের পাঁচটি ফসল রক্ষা বাঁধ। এই হাওরে রয়েছে ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়ন ও দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের ব্যুরো ফসল। হাওরে বোরো ফসল কম পাকার কারণে কৃষকরা ধান কাটতে আগ্রহী হচ্ছে না। দু’উপজেলার কৃষি বিভাগ অর্ধপাকা ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে কৃষকদের।
সোমবার রাতে সুরমা নদীর পানি কিছু হ্রাস পেলেও ঝুঁকিতে রয়েছে বৃহৎ এই হাওরের ফসল। বাঁধে ফাটলের কারণে ফসল রক্ষা বাঁধের ঝুঁকি ক্রমান্নয়ে আরো বাড়ছে। পাহাড়ি ঢলে নাইন্দার হাওরের দোয়ারা বাঁধের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এদিকে দোয়ারাবাজার অংশে নাইন্দার হাওরের কাউয়াখালি বাঁধের কালভার্টের নীচ দিয়ে ও হাওরে পানি ঢুকছে। স্থানীয় কৃষকরা বাঁধ মেরামতের কাজ করেছেন। ছাতক অংশে লক্ষিভাউর খালের মুখে বাঁধের কানায়-কানায় ঢলের পানি। রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
নোয়ারাই ইউনিয়নের সদস্য ছাদিক মিয়া জানান, এখানে হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধ মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন কৃষকসহ জনপ্রতিনিধিরা। নাইন্দার হাওরের ফসল রক্ষায় সাহেবখালী বাঁধে ও মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। এ হাওরের ফসল রক্ষায় ৫টি পি আই সির মাধ্যমে দুই উপজেলার ৫টি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাতকে ৩ টি বাঁধ ও দোয়ারাবাজার এলাকায় ২ টি বাঁধ রয়েছে।
সোমবার নাইন্দার হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শন করেছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, সুনামঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুদ্দোহা ও দোয়ারাবাজার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ। ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান, লক্ষিভাউর ও সাহেবখালী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, বাঁধের বেশ কয়েকটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা বাঁধ রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বাঁধে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। বাঁধ রক্ষায় অতিরিক্ত বাঁশ, জিও ব্যাগ, বস্তা, পলিথিন রেডি করে রাখা হয়েছে। ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, নাইন্দার হাওরসহ সকল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের দিকে প্রশাসনের নজর রয়েছে। কোনও বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা দিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে ।