বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
পলাতক আসামি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে কোনো আবেদন করতে পারবে না উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেন, ২০০৮ সাল থেকেই পলাতক হিসেবে গণ্য হবেন জোবাইদা।
গতকাল বুধবার (১ জুন) জোবাইদার দুর্নীতি মামলার ১৬ পাতার রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। ২০০৮ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ না করে কীভাবে হাইকোর্ট এ মামলা শুনলেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দার আত্মসমর্পণের আদেশ বাতিল করেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ লিখিত রায়ে বলেছেন, পলাতক আসামির মামলা শুনে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আইন বহির্ভূতভাবে জোবায়দাকে দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত সুবিধা।
জোবায়দা রহমানের দুর্নীতি মামলা চলবে বলে গত ১৩ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু সেই রায়ের কোনো ব্যাখ্যা সেদিন দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বলেন, শত বছরের নজির ভেঙে জোবায়দার মামলা গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট; যা অবৈধ এবং সংবিধান লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য, ডা. জোবায়দা সাবেক মন্ত্রী মরহুম রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মেয়ে। তার বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। জোবায়দা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার দুই বছর আগে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় জোবায়দার। জরুরি অবস্থায় তারেক গ্রেপ্তার হওয়ার তিনি ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তারেক-জোবায়দা লন্ডনেই রয়েছেন।
সোনার সিলেট / কেএ