মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সৎ ভাই কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন অন্য দুই সৎ ভাই আশরাফুল করিম ও মো রেদওয়ানুল করিম। সোঁনার সিলেটের প্রতিনিধি বলেন, মোলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ৩নং নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের গল্লাসাংগন গ্রামের মৃত মো ইমাম উদ্দীনের বড় ছেলে আদনানুল করিম যিনি বর্তমানে আওয়ামিরীগের ৩নং নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের সভাপতি তিনি তার দুই সৎ ভাইকে বাবার সম্পত্তিতে ভাগ না দেওয়ার জন্য মিথ্য ও যড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাসিয়েছেন বলে আমাদের জানান।
সোঁনার সিলেট প্রতিনিধি মৃত ইমাম উদ্দীনের অন্য দুই ছেলে যাদের উপর এ হত্যা মামলার অভিযোগ হয়েছে তাদের কাছ থেকে এ মামলার ব্যপারে জানতে চাইলে তারা দুই ভাই আশরাফুল করিম ও মো রেদওয়ানুল করিম সোনার সিলেটের প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের বাবার মৃত্যুর পর বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রেট্রল পাম্প, রেস্টুরেন্ট, ও জায়গা জমি সবকিছু এককভাবে দখল করে তা ভোগ করতে থাকেন আমাদের সৎ ভাই আদনানুল করিম। আদনানুল করিম তার দলীয় প্রভাব কাটিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের বিপক্ষে যড়যন্ত্র করেন, শুধু যড়যন্ত্র নয় আমাদের কয়েকবার হত্যারও হুমকি দেন। বাবার মৃত্যুর পর যখন আমরা আর্থিকভাবে খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়লে আমাদের মা আমাদের সৎ ভাইকে বাবার ব্যাবসা ও জায়গা জমিতে আমাদের অংশ আমাদের মধ্যে ভাগ করে দিতে বল্লে সে তা দিতে অস্বীকার করে বলে এগুলোতে তোমাদের কোন ভাগ নেই এগুলো বাবা শুদু আমার জন্য রেখে গেছেন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে প্রথমে ৩ নং নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার জনাব খসরুজ্বমান কে অবগত করে কোন সাড়া না পেলে আমরা ইউনিয়ন চ্যেয়ারম্যান জনাব ময়নুল হকের কাছে আদনানুল করিমের বিপক্ষে অভিযোগ করি। চ্যেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন যেহেতু আদনানুল করিম ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি তাই বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বলে সমাধান করে দিবেন বলে আমাদের বিদায় দেন পরবর্তিতে চ্যেয়ারম্যান আমাদের সৎ ভাই আদনানুল করিমকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু সে এ বিষয়ের কোন সমাধান না দিয়ে উল্টো বিগত ০৭/০২/২০২২ তারিখে আমাদের উপর রাগান্নিত হয়ে ছাএলীগের ৭/৮ জন বখাটে কর্মি নিয়ে আমাদের দুই ভাই ও আমাদের মা রোকিয়া বেগমকে মারধর করে আহত করে, স্হায়ীয় প্রতিবেশিরা শব্দ শুনে আসলে ছাএলীগ সন্ত্রাসীরা ও সৎ ভাই আদনানুল করিম পালিয়ে যায় স্হানীয়রা আমাদের ডাক্তারে নিয়ে জান এবং কিছুদিনে আমরা সুস্হ হয়ে উঠি রোকিয়া বেগমের বড় ছেলে আশরাফুল করিম বলেন এ নিয়ে আদনানুল করিম আমাদের কয়েকবার মারধর করেছে, আমরা কিছু বল্লেই আমাদের গুম, হত্যা ও মামলা ইত্যাদির ভয় দেখায়, এভাবে কিছুদিন জাওয়ার পর কাজ থেকে আমরা দুই ভাই সন্ধ্যয় বাড়িতে ফিরে আমাদের মায়ের মাধ্যমে শুনতে পাই বিগত ১০/০৫/২০২২ তারিখের ৩ নং নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগত ০২/০৫/২০২২ তারিখে বি এন পি ও আওয়ামিলীগ কর্মিতের মধ্যে মুখামুখি সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে দুই দলের কয়েক জন কর্মি আহত হন এবং আওয়ামিলীগের একজন কর্মি নিহত হন তাৎক্ষণিক বড়লেখা থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারামারি দুইদিন পর বিগত ০৪/০৫/২০২২ তারিখে আওয়ামিলীগ নেতা কর্মিরা বি এন পির বেশ কয়েকজন কর্মিদের ওপর মামলা করে। আমাদের সৎ ভাই সুযোগ পেয়ে ঐ হত্যা মামলায় আমাদের ফাসিয়ে আমাদের বাবার রেখে যাওয়া ব্যবসা, ও সম্পত্তি একক ভাবে সে ভোগ করার জন্য যড়যন্ত্র করে আমাদের নাম ডুকিয়ে দেয়। দু একদিন পর বাড়িতে পুলিশ আসে আমাদের আটক করার জন্য। আমরা কাজে থাকায় আমাদের না পেয়ে পুলিশ আমাদের ফিরে যায় বাড়িতে এসে আমরা তা শুনে ভয় পেয়ে বড়ি থেকে কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াই এবং কিছুদিন পর মায়ের মাধ্যমে শুনতে পাই আমরা নির্দোষ আমাদের ফাসানোর জন্য যড়যন্ত্র করা হয়েছিলো তাই আমরা এখন বাড়িতে ফিরে আসি।
আশরাফুল করিম ও রেদওয়ানুল করিম মা রোকিয়া বেগম ছেলেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে সোনার সিলেট প্রতিনিধিকে বলেন, স্বামীর মিত্যুতে আমরা আর্থিকভাবে খুব বেশি সমস্যায় পড়লে আমার দুই ছেলে রাজমিস্ত্রী কন্টাকটর মিছবা উদ্দীনের সাথে রাজমিস্ত্রী কাজে লেগে জায় আমার দুই ছেলে কাজ কর্ম করে আমাদের পরিচালনা করে কারণ স্বামীর মৃত্যুতে আমাদের আর কোন আয়ের উৎস নাই। রোকিয়া বেগম বলেন আওয়ামিলীগ বি এন পির ঐ সংঘষের দিন আমার দুই ছেলে পাশের গ্রামে রাজমিস্ত্রী কন্টাক্ট মিছবাহ উদ্দিনের সাথে কাজে ছিলো রাতে বাড়িতে ফরলে আমি নিজে তাদের অত্র মারামারি ব্যয়াপারে প্রথমেই বলি, আমার ছেলেরা নির্দোষ। তাদের ফাসানের জন্য যড়যন্ত্র করা হয়েছিলো। তাদের কাজে থাকার সত্যতা যাচাই করতে আমাদের সোঁনার সিলেট প্রতিনিধি রাজমিস্ত্রী কন্টাক্টর মিছবাহ উদ্দীনের সাথে কথা বল্লে তিনি আশরাফুল করিম ও মো রেদওয়ানুল করিম সংঘর্ষের দিন তার কর্মস্হলে কর্মরত ছিলেন বলে আমাদের জানান। রাজমিস্ত্রী কন্টাক্টর বলেন আসলে এরা দুই ভাই নিধোষ মূলত তাদের সৎ ভাই তাদের ফাসানোর জন্য যড়যন্ত্র করেছে, সুধু তা নয় অতিতেও সে অনেক নির্যাতন করেছে এলাকার লোকজন সবাই তা জানে, এখন সুযোগ পেয়ে তাদের ফাসিয়ে সম্পত্তিতে ভাগ না দিতে ষড়যন্ত্র করে অর্এ হত্যা মামলায় তাদের জড়িয়েছে।
সোঁনার সিলেট প্রতিনিধি বলেন, আমরা তাদের মা রোকিয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে যে তারা আইনি কোন সহযোগিতা নিলেন না কেন? বা নিয়েছেন কি না তখন রোকিয়া বেগম বলেন আমি আমার ছেলেদের উপর মামলা শুনে বড়লেখা থানায় গিয়ে ছিলাম মামলা সম্পর্ক জানতে। তখন পুলিশ কর্মকতা জাহাঙ্গীর স্যার বলেন আওয়ামিলীগ নেতা কর্মিরা আমাদের খুব বেশি প্রেসার দিচ্ছে আসামিদের আটক করার জন্য তখন আমি জাহাঙ্গীর স্যারকে বলি আমার ছেলেরা ঐইদিন মারামারিতে উপস্হিত ছিলো না। তারা ঐ দিন কাজে ছিলো। আমার ছেলেরা নির্দোষ। তখন পাশে থাকা একজন পুলিশ কর্মকতা বলেন আমরা কি করবো আসলে এ হত্যা মামলায় নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতির হাত রয়েছে, রোকিয়া বেগম আমাদের বলেন আমার আর বুঝতে বাকি নেই যে আমার সৎ ছেলে আদনানুল করিম যড়যন্ত্র করে আমার দুই ছেলেকে ফাসাতে মামলায় এদের নাম ঢুকিয়েছে কারণ নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের আওয়ামিলীগের সভাপতি তো আমার সৎ ছেলে আদনানুল করিম তাই আমি বাড়িতে ফিরে আসি।আমার ছেলেরা ভয় পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে পালিয়ে থেকেছিলো কতদিন। তিনি আমাদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন আমি একটিই সহযোগিতা চাই আপনাদের মাধ্যমে যেন আমার দুই ছেলে তাদের বাবার রেখে যাওয়া ব্যবসা ও সম্পত্তির সুষ্টু ভাগ পায়।
আমাদের সোনার সিলেট প্রতিনিধি জানান, ঐ মিথ্যা যড়যন্ত্রের ব্যয়াপারে আমরা বিস্তারিত আরো জানতে আশরাফুল করিম ও মো রেদওয়ানুল করিমের সৎ ভাই আদনানুল করিম যিনার উপর এ যড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে যিনি বর্তমান নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের আওয়ামিলীগ সভাপতি তাকে আমরা ফোন কলে এ ব্যয়াপারে কথা বলতে It’s করার কথা বল্লে তিনি এ ব্যািপারে কোন কথা বলতে অসম্মতি জানান এবং ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। আমরা এ ব্যাপারে ইউনিয়ন চ্যেয়ারম্যন ময়নুল হকের সাথে আলাপ করলে তিনি বিষটি নিজ দায়িত্বে মিমাংসা করবেন বলে আমাদের আস্বস্ত করেন।