ঐতিহ্যবাহী বিজরা রহমানিয়া চির সবুজ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব আবু ছালেমের উপর হামলা মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি মানব বন্ধন স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার সচেতন জনগন,অভিভাবকও ছাত্র ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেন.মানব বন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকার সচেতন জনগন বলেন দূর্ণীতিবাজদের কে বাচাতে মিথ্যা কথা সাজিয়ে একজন নিরীহ নিরপরাধ মানুষ কে হামলা মামলা ও হয়রানি এ অঞ্চলে একটি ন্যাক্কারজনক গঠনা.অভিলম্বে এসব হয়রানি বন্ধ করে প্রকৃত দোষীদের কে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সরকার কে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান। তারা আরো বলেন তার বিরুদ্ধে যত গুলো মিথ্যা মামলা আছে তা অভিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মামলার বিষয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার পরিবার বলেন, “ছালেম সাহেব মূলত তাদের মুখোশ উন্মোচন করার কারনেই তার উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা ঘটায়.মামলা করে মূলত তার প্রতিবাদি কন্ঠকে স্তব্দ করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। পরিবারের পক্ষে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় যেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন প্রদান করা হয়।
১ নং মামলার বাদী প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন”দুস্কৃতকারীরা ২০/২৫ জনের একটি দল এসে স্কুল ভবনে হামলা করে জাতির জনকের ছবি প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে ও জাতীয় পতাকার অবমাননা করে এবং অফিস কক্ষে ঢুকে ভাংচুর করে কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নিয়ে যায়.যার মধ্যে স্কুলের আয় ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ হিসাব সংরক্ষিত ছিলো.প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরনের উপর নির্ভর করেই সুনির্দিষ্ট মামলা করা হয়েছে। ২ নং মামলার বাদী মুহতামিম প্রিন্সিপাল আমিনুল ইসলাম কে মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আবু ছালেমের লোকজন কওমি মাদ্রাসার ছেলেদেরকে প্রথমে আক্রমন করে। তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে স্কুলে নাচ গানের আয়োজন করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন তাই আমি বাদী হয়ে সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করি।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকত্তা জনাব জসিম উদ্দিন কে মামলা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন”অভিযুক্ত আসামী ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসীদল নিয়ে স্কুল কক্ষে হামলা চালান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ সংগ্রহ করা হয়েছে.তিনি আরো বলেন অভিযুক্ত আসামী জনাব আবু ছালেম পলাতক রয়েছেন তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে কোন মুহুত্তে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।