কুমিল্লা লালমাই বাজারে বাবার অফিসে মেয়ে সানজিদা আক্তার (২৪) ধর্ষণের শিকার অতঃপর বাবা ইউসুফ মিয়া (৫১) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা।
পরিবারের ভাষ্যমতে,গত ০৫/০৯/২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.১৫ এর দিকে ইউসুফ প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ঘর নামক এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রভাবশালী নেতা শাহিন আহমেদ এবং ফারুক আহমেদ উপস্থিত হয়। তাদের উপস্থিতিতে টের পেয়ে ইউসুফ মিয়া অফিসের অন্য একটি কক্ষে চলে যায়। ইউসুফ মিয়াকে না পেয়ে শাহিন ও ফারুক তার মেয়ে সানজিদা আক্তারকে তার বাবা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে।সে তার বাবার উপস্থিতি সম্পর্কে মিথ্যা বলে যে তার বাবা অফিসে নেই।তখনই তাকে মারধর শুরু করে;একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত থাকা তার চাচা মোসলেম উদ্দিন ও চাচাতো বোন শামীমা আক্তার এগিয়ে এসে তাদের বাধা প্রদান করে এবং পুলিশের ভয় দেখায় এতে তারা আরো রাগান্বিত হয়ে ওঠে এক পর্যায়ে তাদেরকেও আহত করবার চেষ্টা করে।
সুযোগ পেয়ে সানজিদা আক্তার ইমারজেন্সি হটলাইন নাম্বার ৯৯৯ এ কল করবার চেষ্টা করে কিন্তু সে শাহিন আহমেদের কাছে ধরা পড়ে যায়। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর শারীরিক অত্যাচার শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে।মেয়ের চিৎকারে বাবা রুম থেকে বেরিয়ে আসে এবং এমন পরিস্থিতি দেখে শাহিন আহমেদকে হাতে থাকা ক্রেচার দিয়ে আঘাত করতে গেলে ফারুক আহমেদ ও তাদের সহযোগীরা ইউসুফ মিয়াকে ধরে ফেলে। পূর্ব শত্রুতার জের এবং ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় শাহিন বাহিনী ইউসুফ মিয়াকে অস্ত্রাঘাত করে।তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে বাজারের মানুষজন আসতে শুরু করে। লোকসমাগম দেখে শাহীন ও ফারুক আহমেদের দলবল পালিয়ে যায়।লোকজন তাদেরকে নিকটস্থ্য উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউসুফ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে।
উপজেলা চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় ; অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ইউসুফ মিয়া মারা যায়। অন্যদিকে প্রাথমিক অবস্থায় সানজিদা আক্তারকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গিয়েছে কিন্তু তারা এখনো চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
শাহিন আহমেদ ও ফারুক আহমেদ এর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় ; তাদের নামে দেওয়া মামলা ও ঘটনাটি বানোয়াট এবং মিথ্যা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করে।
লালমাই থানার উপ-পরিদর্শক এস আই আব্দুল মতিন বলেন পূর্ব ব্যবসায়িক শত্রুতার জের ধরে উক্ত ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য ইউসুফ মিয়ার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং সানজিদা আক্তার বাদী হয়ে লালমাই থানায় একটি ধর্ষণ মামলা এবং একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে তবে আসামিগণ বর্তমানে পলাতক রয়েছে।