ভবানীপুরের পাশাপাশি আজ এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনেরও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানেও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শুরু হয়েছে ভোটদান পর্ব।
জেতার জন্য মমতা ও প্রিয়াংকা আজ সকালেই ভোটের মাঠে জোর লড়াইয়ে নেমেছেন। তৃণমূল দাবি করেছে, এ যুদ্ধে জিতবেন মমতাই। এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাবেন। অন্যদিকে বিজেপিও তাদের দাবি থেকে সরছে না।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে এবার লড়েছিলেন মমতা। ওই আসনে মমতা হেরে যান তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। ভারতীয় সংবিধান মেনে গত ২ মের ফলাফল ঘোষণার পর ৫ মে মমতা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সাংবিধানিক বিধি হলো ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে বিধানসভায়। সে লক্ষ্যে ভবানীপুর আসনে তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। মমতাকে ভবানীপুর আসনের শূন্যপদে জিতিয়ে আনাই তাঁর লক্ষ্য।
গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন রাজ্যের আরও চারটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর বাকি চারটি আসনের উপনির্বাচন হবে। এ আসনগুলো হলো খরদহ, দিনহাটা, শান্তিপুর ও গোসাবা। আগামী ২ নভেম্বর এ চার আসনের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এসব আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৮ অক্টোবর।
ভবানীপুরে সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। এ আসনে কংগ্রেস এবার প্রার্থী দেয়নি।
আজকের নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ের ব্যাপারে তিন প্রার্থীই আশাবাদী। এবারের নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা ইন্দ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে এ আসনে মমতা জিতেছিলেন ২৫ হাজার ৩৪১ ভোটের ব্যবধানে। ২০১১ সালে এ আসনেই মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে। এবার তৃণমূল ঘোষণা দিয়েছে, তারা এক লাখের বেশি ভোটে জিতিয়ে আনবে মমতাকে।
ভবানীপুরের নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ৩ অক্টোবর।