২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ১০:৩২

মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে নামিয়ে দেওয়া হতো সেন্টমার্টিনে

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সোমবার, এপ্রিল ১১, ২০২২,

টাকা নিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে ট্রলারে তোলা হতো অসহায় লোকদের, পরে তাদের কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে নামিয়ে দিত চক্রটি। সেখানে চক্রের কাউকে খুঁজে না পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতেন ভুক্তভোগীরা।

মানব পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব। গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- মো. ইসমাইল, শফিউল আলম, রিয়াজ খান, মো. হোসেন ও ইউনুস মাঝি। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে গতকাল রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব-৭।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার জানান, চক্রের অন্যতম হোতা ইসমাইল ও শফিউল। তারা দুজন ভাই। দুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি করে মানবপাচার আইনে মামলা রয়েছে। চক্রটি কক্সবাজারের পেকুয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দরিদ্র লোকজনকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়। পরে তাদের ট্রলারে তুলে দেয়। তাদের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে সই নেয়া হয় এর আগে। ট্রলারে তোলার আগে পাসপোর্টগুলো নিয়ে নেয়া হয়। মালয়েশিয়া পৌঁছার পর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তাদের মালয়েশিয়া না নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নামিয়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন জানান, গ্রেফতার রিয়াজ খানের কাছে পাসপোর্ট তৈরির জন্য যান। তখন তাকে কম খরচে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলেন রিয়াজ। পাসপোর্ট তৈরির জন্য ১৫ হাজার টাকা নেন। পরে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা দেন। তার মতো আরও ১৫ থেকে ২০ জনের কাছ থেকে টাকা নেয় চক্রটি। পরে তাদের পেকুয়ার একটি ঘাট থেকে মালয়েশিয়া নেয়ার জন্য একটি ট্রলারে তোলা হয়। পরে তাদের সেন্টমার্টিন দ্বীপে নামিয়ে দেওয়া হয়। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করারও সাহস পাননি।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার আরও বলেন, বিদেশেও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে চক্রটি। গ্রেফতার আসামি হোসেনের ছেলে মো. এমরান মোজাম্বিকে চাঁদা আদায় করেন। ভুক্তভোগী মোক্তার আলী চক্রটির মাধ্যমে মোজাম্বিক যান। সেখানে এমরান মোক্তারের কাছে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তাকে আটকে রাখেন।

ওই টাকা বাংলাদেশে তার বাবা হোসেনকে দেওয়ার জন্য বলেন। বাধ্য হয়ে হোসেনের হাতে ওই টাকা তুলে দেয় মোক্তারের পরিবার। গ্রেফতার আসামিরা দরিদ্র লোকজনকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে থাকা তাদের চক্রের সদস্য মুক্তিপণ হিসেবে টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo