কবি রমজান আলীর পুঁথিকাব্য ‘মামন্দ মনসুরের পুঁথি’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩ জুন শুক্রবার বিকেলে সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সৃজনশীল প্রকাশনী সংস্থা ‘পাপড়ি’ কর্তৃক আয়োজিত পুঁথিকাব্যটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেটের সহসভাপতি শক্তিমান কবি অধ্যক্ষ কালাম আজাদ।
পাপড়ি বুকক্লাবের উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক কবি মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পাপড়ির স্বত্ত্বাধিকারী ছড়াকার কামরুল আলমের সঞ্চালনায় উক্ত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, ঢাকা ব্যাংক সিলেট উপশহর শাখার ব্যবস্থাপক বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক কবি সুমন বণিক এবং মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতা মুহিবুর রহমান।
কবি ও কণ্ঠশিল্পী ক্বারি মতিউর রহমানের কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রবীণ লেখক সিরাজুল হক, মুহিবুর রহমান একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল কবি ইমদাদ উদ্দিন, অনলাইন নিউজপোর্টাল ভাটিবাংলার সম্পাদক আহমদ কবির রিপন, শাহপরান (রহ.) উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ জোয়াদ খান, শাবিপ্রবির মেধাবী শিক্ষার্থী কবি ও গল্পকার চৌধুরী রাহাত, ছড়াকার ও চিত্রশিল্পী কবির আশরাফ, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী মো. শফিকুল হক শফিক, ছড়াকার ও সংগঠক আব্দুল কাদির জীবন, ছড়াকার আকরাম সাবিত, ছড়াকার জুবায়ের নাবিল, কণ্ঠশিল্পী বিমান বিহারি বিশ্বাস, কবি মতিউর রহমান, স্বপ্নপূরণ সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শেখ হাবিব রহমান, ছোটোদের ছোটোকাগজ ‘কচি’ সম্পাদক আরাফাত রহমান মিহির, কবি ও শিক্ষক গোলাম রব্বানী, জহির উদ্দিন শিপন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত ও পুুঁথিপাঠ করে শোনান ‘মামন্দ মনসুরের পুঁথি’ কাব্যের লেখক কবি রমজান আলী। এছাড়া দেশের গান পরিবেশন করেন বিমান বিহারী বিশ্বাস ও শেখ হাবিব রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি কালাম আজাদ বলেন, পুঁথিসাহিত্য আমাদের ঐতিহ্যেরই অংশ। একসময় আমাদের ঘরে ঘরে ছিল পুঁথি। দিনের আলো নিভে গেলেই কুপি জ্বালিয়ে শুরু হতো পুঁথিপাঠ। বর্তমান আধুনিক যন্ত্র-সভ্যতার দাপুটে বাস্তবতায় যখন প্রাচীন পুঁথিকাব্য, পুঁথিকাহিনি বিস্মৃত ও বিলুপ্ত প্রায় ঠিক এমন এক সময়ে স্বভাবজাত কবি রমজান আলী আমাদের হারানো ঐতিহ্য পুঁথিকাব্যকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন। এটা নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব বলেন, প্রাচীন ও মধ্যযুগের সঙ্গে আধুনিক যুগের সেতুবন্ধন হচ্ছে পুঁথি। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে পুঁথির সংরক্ষণ, আরো পুঁথি সংগ্রহ এবং পুঁথির ব্যাপক চর্চা ও গবেষণা প্রয়োজন।
কবি সুমন বণিক রমজান আলীর পুঁথি চর্চার প্রশংসা করে বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটিকে আরও বড় পরিসরে এগিয়ে নিতে হবে।