লাকসাম উপজেলার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী রহমানিয়া চির সবুজ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারী ও প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে স্হানীয় এলাকার জনগন ও স্কলের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকরা এক মানব বন্ধনে অংশগ্রহন করে। তাদের অভিযোগ মন্ত্রীর আশির্বাদ পুষ্ট কিছু মানুষের স্বেচ্ছাচারীতা ও দূর্নীতির কারনে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছেছে। তাছাড়া ধর্মীয় উগ্রবাদিদের কারনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং একটি স্বার্থন্বেসি মহলের চাপে কোমলমতি ছাত্রীদেরকে ড্রেস কোডের অজুহাত দিয়ে এই গরমের মধ্যে ও বোরখা ও হিজাবে আবদ্ধ করা হচ্ছে.অভিযোগ উঠেছে স্হানীয় কওমী মাদ্রাসার চাপে এমনটি করা হচ্ছে মানব বন্ধনে অংশ নেওয়া ছাত্রীর অভিভাবক ও এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য জনাব আবু ছালেম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন যাবত দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মন্ত্রীর আশির্বাদ পুষ্ট কিছু দূর্ণীতিবাজ বড় ধরনের দূর্ণীতিতে লিপ্ত রয়েছে.তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন অতি সত্তর এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা না নেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়বে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন যারা এসব অনৈতিক কাজ গুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে স্হানীয় সচেতন জনগন কে রুখে দাড়াতে হবে এবং তাদের এই দূর্ণীতি স্বজনপ্রিতি ও ধর্মীয় গোড়ামীর বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ অবস্হান নেওয়ার জন্য তিনি বিশেষ ভাবে আবেদন জানান।
এ বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন”এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে গোলা পানিতে মাছ স্বীকারের অপচেষ্টা করছেন। এই প্রতিষ্ঠানে এসব অভিযোগের কোন সত্যতা নেই. এই স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কে স্বশরীলে না পেয়ে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ দেখায়। সেক্রেটারি কে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না,বিষয়টি জেনে পরবর্তী তে বলবেন. কওমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম প্রিন্সিপাল জনাব মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন”যেহেতু সাথে কওমি মাদ্রাসা বিদ্যমান তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে এখানে ইসলাম বিরুধী কোন গান বাজনা করতে স্কুল কমিটিকে নিষেধ করা হয়েছে আর দূর্ণীতির বিষয়টি তাদের প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ব্যাপার এটা তিনি জানেন না বলে তার মত প্রকাশ করেন. উল্লেখ্য গত কয়েক বছর এ প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কোন অদৃশ্য কারনে বন্ধ রয়েছে।