১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৩:১৩

চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কক্ষ ভাঙচুর

সোনার সিলেট ডটকম
  • আপডেট মঙ্গলবার, মার্চ ২, ২০২১,

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাসের অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

গোয়াছি বাগান এলাকার মেডিকেল মেইন হোস্টেল নামে পরিচিত ছাত্রাবাসটিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। কক্ষ ভাঙচুরের জন্য দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে।

চমেক সূত্র জানায়, ছাত্রাবাসে বর্তমানে এমবিবিএস তৃতীয় প্রফেশনাল ও ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন বর্ষের কিছু ছাত্র রয়েছেন। যাঁদের পরীক্ষা নেই তাঁদের সেখানে থাকার অনুমতি নেই।

বেলা দুইটার দিকে দোতলার কিছু কক্ষে অতর্কিত ভাঙচুর এবং কক্ষের জিনিসপত্র তছনছ করে কয়েকজন ছাত্র। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন দুই পক্ষ হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রাবাসের ভেতর। এক পক্ষ অপর পক্ষের কক্ষ ভাঙচুর শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি পক্ষ পরস্পরের কক্ষ তছনছ করেছে। আধিপত্য বিস্তারের জন্য এটা করা হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার নেই।

ছাত্রাবাসের মাঠের মধ্যে ছাত্রদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র বালিশ, প্যান্ট–শার্ট, বই পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া মাঠের মধ্যে একটি হকিস্টিকও পড়ে থাকতে দেখা যায়। দোতলার বারান্দায়ও বইপত্র এবং কাপড়চোপড় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দোতলায় ছয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। তৃতীয় তলায়ও ছয়টি কক্ষ তছনছ করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা জানান।

এ ঘটনার জন্য আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা নওফেলপন্থীদের দায়ী করেন। এ পক্ষের নেতা অনির্বাণ দে ও আসিফ বিন তাকি রিফাত বলেন, ‘অতর্কিত তারা এ হামলা চালিয়েছে। তারা চেয়েছে আমাদের হল থেকে বের করে দিতে। এই ক্যাম্পাস আ জ ম নাছির উদ্দীনের ঘাঁটি। আমাদের ছেলেদের রুম প্রথম ভাঙচুর করে তারা।

নওফেলপক্ষের শামীম আহমেদ বলেন, ‘তারা প্রথম আমাদের ছেলেদের দুটি কক্ষ থেকে বের করে দেয় এবং জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে। এরপর উত্তেজনা দেখা দেয়। আমরাও তাদের কক্ষে যাই।

মাসখানেক আগে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন দুই পক্ষকে ডেকে পৃথক ব্লকে ভাগ করে থাকতে কলেজ প্রশাসন নির্দেশ দেয়। এরপর আজ নতুন করে এ ঘটনা ঘটে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কলেজের অধ্যক্ষ শাহেনা আক্তার ছাত্রাবাসে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করছিলেন।

সূত্র: প্রথমআলো

এসএসডিসি/বিএম

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo