দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলা ছাপিয়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে আশপাশের এলাকাতেও। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা গেছেন ১১ জন। আর রাজশাহী বিভাগে মারা গেছেন ১২ জন। সর্বোচ্চ শনাক্তের হার সাতক্ষীরায় ৬১ শতাংশ। রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে হিমশিম অবস্থা।থামছেই না করোনা সংক্রমণ। নতুন হুমকি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। অনেক হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝেতেই চলছে চিকিৎসা। সংক্রমণ কমছে না লকডাউনেও। সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান চিকিৎসকদের।
খুলনা: মৃতের সংখ্যা বেড়েছে খুলনায়। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে নতুন করে করোনায় আট ও উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা মৃতের মধ্যে সাতক্ষীরার ৩ জন, খুলনার ২ জন, যশোরের ২ জন ও পিরোজপুরের একজন। ২৪ ঘণ্টায় ৪৪২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১৪৯ জন। হার ৪২ শতাংশ। ১৩০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি ১৫৫ জন। অনেকের চিকিৎসা হচ্ছে মেঝেতে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ৪৪২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১৪৯ জন। হার ৪২ শতাংশ।
সাতক্ষীরা:করোনার আরেক হটস্পট সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ৬১ শতাংশ। ৯২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৬৬জন। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা গেছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে একজন যশোরের। তৃতীয় দফা লকডাউন চললেও মানছেন না সাধারণ মানুষ বলে ন জানান সাতক্ষীরা-৩ সংসদ সদস্য ডা. রুহুল হক। আরো সচেতন হওয়ার কথা জানান তিনি।
যশোর: যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ৪ জন মারা গেছেন যশোরে। ৪২০টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১৬৩ জন। হার ৩৯ শতাংশ।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় মারা গেছেন ৭জন। ৩৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১১২ জন। হার ৩০ দশমিক চার তিন শতাংশ। সদর হাসপাতালে ভর্তি ১২০ জন।
রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন রাজশাহীর ও ৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের। ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১১৩ জন। হার ৩০ শতাংশ। রোগীর চাপ সামলাতে করোনা ইউনিটে অতিরিক্ত শয্যা সংযোজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দিনাজপুর: ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে ১৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৫ জন শনাক্ত। মারা গেছেন তিনজন।
চট্টগ্রাম:করোনার ভারতীয় ডেল্টা ধরনের প্রকোপ এবার দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়িয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগেও হানা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় মৃত্যু ও নতুন আক্রান্ত দুটোই বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৫ জন; যা দেশের বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এমনকি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিভাগ রাজশাহী ও খুলনার চেয়েও বেশি।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, জেলায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার মধ্যে উপজেলা চেয়ে নগরীতে এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এ ছাড়া নওগাঁয় শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক তিন আট শতাংশ, নাটোরে ৩৭ দশমিক আট তিন শতাংশ, কুড়িগ্রামে ১৯ শতাংশ ও মেহেরপুরে ২০ শতাংশ।
এসএসডিসি/বিএম