আমতলীর বরগুনায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ভাবি তাসলিমা বেগমকে বড় দেবর গ্রাম পুলিশ ফোরকান মোল্লা পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আহত ভাবি তাসলিমা বেগম এমন অভিযোগ করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলার গেরাবুনিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।জানা যায়, উপজেলার গেরাবুনিয়া গ্রামের হাবিব মোল্লা ও তার বড় ভাই গ্রাম পুলিশ ফোরকান মোল্লার সাথে গত ১০ বছর ধরে বসতবাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছে। সোমবার বিকেলে ওই বিরোধীয় জমির একটি গাছ ফোরকান মোল্লার ছেলে নেছার মোল্লা কেটে ফেলে। এ গাছ কাটা নিয়ে ওই দিন রাতে দুই ভাইয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ফোরকান মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাই হাবিব মোল্লাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এমন মুহূর্তে স্বামীকে রক্ষায় স্ত্রী তাসলিমা এগিয়ে এলে গ্রাম পুলিশ তাকে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙ্গে দেন। স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার তাসলিমা বেগম ফোরকান মোল্লাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আহত তাসলিমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে তার ভাই ফোরকান মোল্লা মারধর করছিলেন। আমি তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে আমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিছেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ ফোরকান মোল্লা মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাকে আমার ভাই হাবিব মোল্লা লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। ওই লাঠির আঘাত আমার হাতে না লেগে তার স্ত্রীর হাতে লেগেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা: তানভির শাহারিয়ার বলেন, আহত তাসলিমার বাম হাত ভেঙ্গে গেছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।