বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর আগ্রাবাদের রঙ্গিপাড়ার রমনা আবাসিক এলাকার কথা। গত দু’মাস এলাকাটিতে ওয়াসার পানির সরবরাহ না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন সেখানকার ৩০ হাজার মানুষ।
জানা গেছে, এলাকাটিতে রয়েছে আড়াই শতাধিক ভবন। অতীতে কখনো পানির জন্য হাহাকার করতে না হলেও গত দু’মাস ধরে পানির সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জাইকার অর্থায়নে ওয়াসার নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পানি সরবরাহ লাইনে পরিবর্তন আনার পর থেকেই এ সমস্যায় ভুগছেন তারা।
তারা বলছেন, হালিশহরের শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার পাশের লাইন থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে রমনা আবাসিক এলাকার পানি। সেই লাইনটি যথেষ্ট নিচু। এর ফলে অপেক্ষাকৃত উঁচু রমনা আবাসিকে পানি পৌঁছায় না। তবে শান্তিবাগের সামনের লাইনের পরিবর্তে রামপুরা এলাকার লাইন থেকে পানি দেওয়া গেলে অনায়াসে পানি পাওয়া যেতো। আর এতেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রামপুরা এলাকার বাসিন্দারা।
রমনা আবাসিক এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রমনা আবাসিক এলাকার চারপাশে রামপুরা, শান্তিবাগ, বসুন্ধরা ও ব্যাংক কলোনি। সব জায়গাতেই পানি রয়েছে। পানির সমস্যা শুরু রমনাতে। গত দু’মাস ধরে রমনা আবাসিক এলাকা মরুভূমির মতো খাঁ খাঁ করছে। এ বিষয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
রমনা আবাসিক এলাকার কল্যাণ সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমান বলেন, অনেক চেষ্টার পর একটি গলিতে পানি পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়েছে। রোজার দিনে মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। মানুষকে এমন দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ দিতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, রমনা আবাসিক এলাকায় পানি না পাওয়ার বিষয়টি আমরা জানি। মূলত জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপ ফেটে যাওয়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে পাইপ মেরামত সম্পন্ন হয়েছে। এলাকাটির বেশিরভাগ বাড়িতেই পানি পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। শুধুমাত্র একটি গলির কয়েকটি বাড়িতে এখনো পানি পাচ্ছে না। সেখানেও দ্রুত পানি পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি।