চট্টগ্রাম রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, এক থেকে আট নম্বর প্রতিটি কাউন্টারে দেয়া আলাদা আলাদা ট্রেনের টিকিট। এর মধ্যে এক নম্বর কাউন্টারে মহিলা, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাশ টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া দুই নম্বর কাউন্টারে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), তিন নম্বর কাউন্টারে চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস, চার নম্বর কাউন্টারে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর গোধূলী ও মহানগর এক্সপ্রেস, পাঁচ নম্বর কাউন্টারে একই রুটের তূর্ণা এক্সপ্রেস, ছয় নম্বর কাউন্টারে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটের বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), সাত নম্বর কাউন্টারে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের মেঘনা এক্সপ্রেস ও চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেন এবং বাকি কাউন্টারে অন্যান্য ট্রেনের টিকিট দেয়া হবে।
রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন ঘরমুখো যাত্রীরা। ২৩ এপ্রিল (শনিবার) দেয়া হবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট। একইভাবে ২৪ তারিখে ২৮ তারিখের, ২৫ তারিখে ২৯ তারিখের, ২৬ তারিখে ৩০ তারিখের এবং ২৭ তারিখে ১ মার্চের টিকিট পাবেন যাত্রীরা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে ও বাকি টিকিট অনলাইনে সরবরাহ করা হবে। একজন যাত্রী একটি জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধনের বিপরীতে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট পাবেন। ঈদের এ সময়ে কাটা অগ্রিম টিকিট ফেরতযোগ্য নয় বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর উৎসবকে কেন্দ্র করে অন্যান্য পরিবহনের মতো ট্রেনেও যাত্রীদের ভিড় থাকে। তবে অধিকাংশ যাত্রী ট্রেনকে নিরাপদ বাহন হিসেবে বেছে নেন। ফলে এ সময়ে এসে যাত্রীরাও যাতে ভোগান্তিতে না পড়েন এবং নির্বিঘ্ন বাড়ি ফিরতে পারেন সে ব্যবস্থা নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি কাউন্টারে আলাদা আলাদা ট্রেনের টিকিট প্রদানের পাশাপাশি নারী যাত্রীদের জন্য আলাদা কাউন্টার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আশা করি সবাই সুন্দরভাবে টিকিট কেটে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে যাত্রীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট কাটার আহ্বান জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি নিয়ে ১৩ এপ্রিল রেল ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই দেখাতে হবে। একজন চারটি টিকিট কিনতে পারবে, সে ক্ষেত্রে অন্য তিনজনের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো আইডি কার্ড দেখাতে হবে।
একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে কেনা টিকিটে অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এবার আমরা ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ স্লোগান নিয়ে টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। এই স্লোগান বাস্তবায়নে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সম্মানিত যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকিট ক্রয় করতে হবে। একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে অন্য কেউ ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তার টিকিট বাতিল বলে গণ্য হবে। জরিমানা গুনতে হবে।
কারো জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সেক্ষেত্রে কীভাবে টিকিট কাটতে হবে- এমন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এনআইডি কার্ড ছাড়া টিকিট নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখন অনলাইনে টিকিট কিনতে হলে এনআইডি নম্বর দিয়েই নিবন্ধন করতে হয় এবং কেউ নিবন্ধন করলে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারেন।