আদালতের অতিরিক্ত পিপি প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- হত্যার পরিকল্পনাকারী মো. ফরিদ, দারোয়ান মো. হাসান ও তার মা নাজমা বেগম। এদের মধ্যে হাসান জামিনে রয়েছেন। বাকি দুজন রয়েছেন কারাগারে।
২০২০ সালের ৭ জুন মিয়াখান নগরের মনসুর আলী রোডের নুরুল আলম মিয়ার বাড়ির ছাদের পানির ট্যাংক থেকে শিশু আরাফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আরাফ ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া আবদুল কাইয়ুমের ছেলে।
বাড়ির মালিক ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল ফরিদের। সেই বিরোধের জেরে নুরুল আলম মিয়াকে ফাঁসাতে নাজমা বেগমকে বেছে নেন ফরিদ। অর্থের বিনিময়ে শিশু আরাফকে হত্যার প্রস্তাব দেন। ঋণগ্রস্ত নাজমা বেগমও পারেননি অর্থের লোভ সামলাতে। হত্যা করেন শিশুটিকে।
ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ির নিচতলায় খেলছিল শিশু আরাফ। নাজমার ছেলে হাসান ওই বাড়ির দারোয়ান। তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে আরাফকে ছাদের পানির ট্যাংকে ফেলে হত্যা করেন নাজমা বেগম।
২০২১ সালের ১০ মার্চ এ মামলার চার্জ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ২০ জন সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন ১০ জন।