ছাতকে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে রাস্তা-ঘাটের, ভেসে গিয়েছে হাজার-হাজার মানুষের ঘর-বাড়ি, উপড়ে ফেলেছে রেলপথ। অতীতে বন্যার এমন ভয়াবহ আকার এ অঞ্চলের মানুষ কখনো দেখেনি। ছাতকে বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে এখানের শিল্প প্রতিষ্ঠানও। ওয়াটার লেভেল অতিক্রম করে বন্যার পানি ঢুকেছে নিটল কার্টিজ পেপার মিলে। এতে এ পেপার মিলের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
১৬ দিন ধরে ওই পেপার মিলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীরা বেকার। শিল্প শহর ছাতকে এই প্রথম কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেশিন বন্যার পানিতে ডুবিয়ে গেছে। নিটল কার্টিজ পেপার মিলের উৎপাদিত পণ্য কয়েক কোটি টাকা মুল্যের পেপার রোল, বেবি রোল ও ফিনিস রোল নষ্ট হয়ে গেছে।
একজন কর্মকর্তা জানান, প্রায় ২ মেট্রিক টন বিভিন্ন জাতের রোল পেপার পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। মেশিন হাউজ ও ক্যামিক্যাল গোডাউনে ছিলো হাটু পরিমাণ বন্যার পানি। পানিতে ভেসে গেছে ১ মেট্রিক টন পরিমাণের ক্যামিক্যাল।
নিটল-নিলয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এ আর ডি খাইরুল বাসার ভুঁইয়া কায়েছ জানান, মিলে নিয়ে আসার পথে বন্যায় সড়ক তলিয়ে যাওয়া সড়কে দুইটি ট্রাক আটকা পড়ে ১ হাজার মেট্রিক টন পাল্প ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। সব মেশিন রুমে পানি ঢুকে যাওয়ায় এ পর্যন্ত মিলটি চালু করা যাচ্ছেনা। এ ব্যাপারে ক্ষয়- ক্ষতি উল্লেখ করে নিটল কার্টিজ পেপার মিলের উর্ধতন নির্বাহী আতাউর রহমান ছাতক থানায় ২৮ জুন একটি জিডি ( নং১৪৫৯) করেছেন। জিডিতে মিলের ১৬ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি উল্লেখ করা হয়েছে।
নিটল কার্টিজ পেপার মিলের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, ১৬ জুন থেকে মিলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মিলের বিভিন্ন মেশিনারিজ রুম, ওয়ার্ক সপ, গোডাউন,স্টোর রুমে বন্যার পানি ঢুকে উৎপাদিত পণ্য, ক্যামিক্যাল, স্পেয়ার পার্টস, ইকুইপমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট, গাড়ীসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল বিনষ্ট হয়েছে। বর্তমানে মিল পরিস্কার ও পানিতে নষ্ট হওয়া মালামাল অপসারণের কাজ চলছে।
মিল চালুর বিষয়ে তিনি জানান, অনেক যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতে হবে। কাজেই মিলটি চালু করতে আরো ২০ দিন সময় লাগতে পারে। মিলে রয়েছেন প্রায় ৩শ শ্রমিক।
মিলের শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি জানান, মিল বন্ধ থাকলেও তারা বেতন-বোনাস পাবেন।