দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন হঠাৎ কমে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় লোডশেডিংয়ে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। অনেক জেলায় দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। এতে করে রোদ ও ভ্যাপসা গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে দিচ্ছেন ফেসবুকে পোস্ট।
লক্ষ্মীপুরের ৫ উপজেলায় ৫ লাখ গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৯৭ মেগাওয়াট। মিলছে তার অর্ধেক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ১৫ ঘণ্টায় হচ্ছে লোডশেডিং।
এদিকে, মেহেরপুরেও লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুত থাকছে না। লোডশেডিংয়ের কারণে হিমাগারের রাখা পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে জেলার বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এ সমস্যা। জেলার প্রায় ৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা পিক আওয়ারে ১১৬ মেগাওয়াট অথচ সরবরাহ থাকছে ৫৮ মেগাওয়াট।
এছাড়া নাটোরে চিকিৎসা, শিক্ষা, শিল্প–কলকারখানা ও কৃষিতে নেমে এসেছে বিপর্যয়। নওগাঁর আউশ ও রোপা আমনের খেতে সেচসংকট দেখা দিয়েছে। সিরাজগঞ্জে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
গত ৩ দিন ধরে দিন রাত সবসময়ই লোডশেডিং হচ্ছে রাজশাহীতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকছে বিভিন্ন এলাকা। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যের ওপরও প্রভাব পড়ছে। লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগে শহরের অনেককেই মেজাজ হারাতে দেখা গেছে।
এদিকে, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদন উপকরণের দাম বেড়েছে, ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই লোডশেডিং সাময়িক, কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।