৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৮:২৩

রসিক ভোট: ব্যয়সীমা অতিক্রম করলে ৭ বছর জেল!

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সোমবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২,

ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে কোনো প্রার্থী নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্ধারিত ব্যয়সীমা অতিক্রম করলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রচারের জন্য পাঠিয়েছেন।

মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা:
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ, অনধিক পাঁচ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পঁচাত্তর হাজার টাকা, পাঁচ লাখ এক হতে দশ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, দশ লাখ এক হতে বিশ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বিশ লাখ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এছাড়া নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক পাঁচ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পনের লাখ টাকা, পাঁচ লাখ এক হতে দশ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিশ লাখ টাকা, দশ লাখ এক হতে বিশ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ত্রিশ লাখ টাকা এবং বিশ লাখ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

রসিকের ৩৩টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। অর্থাৎ মেয়র পদের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খাতে ৭৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচন খাতে ১৫ লাখ টাকা, মোট ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

বিধিমালায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ব্যয়:কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ- অনধিক পনের হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা, পনের হাজার এক হতে ত্রিশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা, ত্রিশ হাজার এক হতে পঞ্চাশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার এবং পঞ্চাশ হাজার এক ও তার বেশি ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এছাড়া নির্বাচনি ব্যয় বাবদ- অনধিক পনের হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, পনের হাজার এক হতে ত্রিশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা, ত্রিশ হাজার এক হতে পঞ্চাশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা এবং পঞ্চাশ হাজার এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয় লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

রসিকের ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে কোনো ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ত্রিশ হাজারের বেশি নয়। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খাতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার এবং নির্বাচনি খাতে সর্বোচ্চ দুই লাখ, মোট দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ১৫ হাজার পর্যন্ত ভোটার রয়েছে এমন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খাতে ১৫ হাজার ও নির্বাচনি খাতে এক লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

অন্যদিকে সিটির ১১টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে, ৪৭ হাজার ৭৪৪ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে, ২৮ হাজার ৫৩২ জন। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা ওয়ার্ড ভেদে সর্বোচ্চ দুই লাখ ২০ হাজার থেকে চার লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

নির্বাচনে পর ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ব্যয়ের রিটার্ন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যদি কোনো প্রার্থী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করেন তাহলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী বিধি ৭০ এর উপ-বিধি ১(খ) অনুযায়ী বে-আইনি আচরণের জন্য অন্যূন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। এতে মেয়র পদে নয়জন, কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2016 Paprhi it & Media Corporation
Developed By Paprhihost.com
ThemesBazar-Jowfhowo