বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঔষধসহ ভেজাল ঔষধ তৈরীর কাচামাল পাওয়া গেছে সিলেটের সিলকো ফার্মাসিটিকাল কোম্পানীতে। গতকাল ৫ জুলাই,২০২৪ RAB(Sylhet) কোম্পানীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল ঔষধ উদ্ধার করে যা বাজারজাতকরণের জন্য প্রস্তুুত ছিল।উল্ল্যখ যে গত ২৫ জুন,২০২৪ তারিখে এই কোম্পানির একজন কর্মকর্তা সালমান হোসেন এই চক্রটি সন্ধান দিয়ে অনুষন্ধানের দাবি জানান।
অভিযানের সময় তারা প্রতিষ্ঠানটি থেকে পেনটনিক্স ২০ এমজি ২৫৪৮০০ পিস, সেকলো ২০ এমজি ৩৬০০০০ পিস, সারজেল ২০ এমজি ১২০০০০ পিস, ফিনিক্স ২০ এমজি ১,০৮,৫০০ পিস, লোসেক্টিল ২০ এমজি ২৬০০০০ পিস ও ইটোরিক্স ৫৪০০০ পিসসহ আরও এন্টভায়োটিক,ক্যান্সারের সর্বমোট ১৪,০৩,৩৮০ পিস ভেজাল ঔষধ উদ্ধার করা হয়।যার বেশির ভাগই ছিল চীন ও ভারত থেকে আমদানিকৃত মেয়াদউত্তৃর্ণ কাচামালের প্রস্তুতকৃত। তাছাড়া,তারা সব ঔষধের প্যাকেজিং করেছিল দেশের দামি দামি ব্যান্ডের নাম দিয়ে।বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নকল ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি চক্র। এসব ওষুধ খেয়ে রোগীরা সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পরছেন। অনেকে মৃত্যুবরণও করছেন। নকল ওষুধ বুঝতে পারার কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
RAB(SYLHET) ও ডিবি সিলেট এর সহকারী কর্মকর্তা মো. রাজীব আল মাসুদ বলেন, উদ্ধার হওয়া এন্টিবায়োটিকগুলোর বেশিরভাগই ঠাণ্ডা, কাশি, ব্যথা ও অস্ত্রপাচারের পর চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করেন রোগীরা। কিন্তু এসব নকল ওষুধ যখন কাজ করে না তখন রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পরে। মৃত্যুও হতে পারে এসব রোগীর। ভয়ংকর এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতরা একাধিকবার গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার একই কাজ করছে। অনেকে মনে করেন যে,এই চক্রটি এত ভয়ংকর ও শক্তিশালী যারা সরকার প্রশাসনের উপরও প্রভাবশালী।