চলতি বছরের ১ লা জানুয়ারি স্থানীয় ১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চারজন প্রর্থীর মধ্যে শফিকুর রহমান ও ইকবাল আহমেদ একই গ্রামের পদপ্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনে দুজনই পরাজয় বরণ করেন। আর এই পরাজয়কে ইকবাল আহমেদ কোনভাবেই মেনে নিতে পারেন নি। ইকবাল আহমেদ তার এই পরাজয়ের পিছনে শফিকুর রহমানকে দায়ী মনে করে তার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন।
ইকবাল আহমেদের ক্যাডার বাহিনী প্রায়ই শফিকুর রহমানের রেস্টুরেন্ট থেকে চাঁদা আদায় করত। তারই ধারাবাহিকতায় ৮(২০২০) মে ইকবালের ক্যাডার বাহিনী মোটা অংকের চাঁদা দাবি করলে সেই সময় রেস্টুরেন্টে থাকা শফিকুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান চাদা দিতে অস্বকৃতি জানায়।চাঁদা না দেওয়ায় ইকবালের ক্যাডার বাহিনী রেস্টুরেন্ট ভাংচুর করে চলে যায়। তারপরে ও ইকবালের যড়যন্ত্র থেমে যায়নি।
চলতি বছরের ১০ আগষ্ট( ২০২০) আনুমানিক সকাল ১০ টায় তার লালিত পালিত সন্ত্রাসী নিয়ে শফিকুর রহমানের একটি মুল্যবান জমি দখল করেন ইকবাল আহমেদ। খবর পেয়ে শফিকুর রহমান ও তার ছেলে আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদা দিলে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এই সময় ইকবালের সন্ত্রাসীরা শফিকুর রহমানের মাথায় আঘাত করার কারনে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।সাথে থাকা তার পুত্র আব্দুর রহমাকে ও মারধর করে। স্থানীয় জনতা তাদের চিৎকার শুনে আসতে দেখে সন্ত্রাসী ইকবাল ও তার বাহিনী পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা তাদের উদ্ধার করে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। শফিকুর রহমানের মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিন দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তিনি গতকাল মৃত্যু বরণ করেন। পরবর্তীতে থানায় এই হত্যা কান্ডের কোন মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায় নি।তাদের পরিবারে শোকের ছায়া বয়ে গেছে। সেই সাথে এই মৃত্যুর পরে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।