করোনাভাইরাসের তীব্র সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ বা ‘শাটডাউন’ চলাকালে সাধারণ মানুষকে থাকতে হবে ঘরে। প্রয়োজন ছাড়া একজন মানুষও বাড়ির বাইরে আসতে পারবেন না।

চলমান বিধিনিষেধ, সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা, স্থানীয় লকডাউন—কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছিল না করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতাকে। এমন বাস্তবতায়, এবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এটা কঠোরভাবে যাতে সকলে প্রতিপালন করে সেজন্য বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। সেজন্য পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীও থাকতে পারে।’

প্রয়োজন ছাড়া একজন মানুষও বাড়ির বাইরে আসতে পারবে না বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘মানুষ অপ্রয়োজেনে বাড়ির বাইরে আসবে না। অফিস আদালতগুলো বন্ধ থাকবে।’

২০২০ সালের ২৬ মার্চ দেশজুড়ে ‘অঘোষিত লকডাউন’ ঘোষণা করা হলে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামতে দেখা যায়। মানুষকে সচেতন করতে শহরের অলিগলিতে টহল দেয়া, মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা, জীবাণুনাশক ছিটানো, ত্রাণ বিতরণে দেখা যায় সেনা সদস্যদের।

প্রতিমন্ত্রীও জানালেন এবার সরকার খুব কঠোর অবস্থানে থাকবে। তিনি বলেন, ‘কঠোর, খুবই কঠোর অবস্থানে আমরা থাকতে চাই। কারণ করোনা সংক্রমণের এই চেইন ভাঙতে গেলে এটাই আমাদের করতে হবে।’

শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২৮ জুন থেকে এক সপ্তাহের জন্য এই কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে সেটা আমরা বাড়াব।’

জরুরি পরিষেবার মধ্যে যা থাকবে তার বাইরে সব কিছু বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া আর কোন প্রয়োজনে মানুষ বাড়ির বাইরে আসতে পারবে সেটা সরকারের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। বলা হয়েছে, শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে।