সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, শিশুদের প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিকল্প নেই। সমাজ ব্যবস্থায় তাদের দৃষ্টিশক্তির ইতিবাচক পরিবর্তনে সাংস্কৃতি চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আগামী প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত সাংস্কৃতি চর্চা করতে হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সিলেট প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আরিফ আরও বলেন, আজকের শিশুদের সঙ্গীত ও কবিতা আবৃত্তিসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জড়িত থাকার পরিবেশ তৈরী করে দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। সিলেট প্রেসক্লাব সদস্যদের সন্তানদের জন্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এধরণের আয়োজন আগামীতেও অব্যাহত রাখার জন্য ক্লাব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়ে সিটি মেয়র বলেন, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন সম্ভব।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করতে সংস্কৃতি কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কেউ গীতিকার হিসেবে, কেউ কন্ঠশিল্পী হিসেবে কেউ লেখনির মাধ্যমে, যার যার অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠেছে।
ক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির ও সহ-সভাপতি আবদুল কাদের তাপাদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক শাহ মুজিবুর রহমান জকন। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্লাব সদস্য মুনশী ইকবাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সহ-সভাপতি এম এ হান্নান, সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতা, কোষাধ্যক্ষ কাউসার চৌধুরী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মারুফ আহমদ, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির আহমদ, ক্লাব সদস্য চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, আব্দুল বাতিন ফয়সল, মো. মুহিবুর রহমান, মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, মো. ফয়ছল আলম, মো. দুলাল হোসেন, শেখ আশরাফুল আলম নাসির, ফারুক আহমদ, শাহ মো. কয়েছ আহমদ, দিগেন সিংহ, সিন্টু রঞ্জন চন্দ, শেখ আব্দুল মজিদ, আবুল কালাম কাওছার, মাধব কর্মকার, অনিল কুমার পাল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, সিলেট প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ফলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম হলেও আগামীতে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত এই প্রতিযোগিতা অব্যাহত রাখতে ক্লাব সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হচ্ছেন অর্শি রুদ্র পাল, তাসনিয়া তাসনিম উষা, তাপাদার জান্নাতুল জাহরা মেহরিন, মেঘদীপা আহমাদ, শেখ মালিহা মারিয়াম, জান্নাতুল ফেরদৌসী নোহা, মায়মুনা রহমান ফাবিহা, আহমেদ ফাইয়াজ ঋদ্ধ, তাহসিন ইসলাম ফাহী, অর্পণ রুদ্ধ পাল ও জান্নাতুল ফেরদৌসী নুসরাত।