পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে লাঙ্গলবন্দ সেতুর দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা আমির হোসেন সকাল ১০টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাসে উঠে বিকেল ৪টায় সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় পৌঁছান। তিনি জানান, তার দুই সন্তান ও স্ত্রী যানজটে আটকা পড়ে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সকাল ৯টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত মহাসড়কে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পুণ্যার্থীরা যানজটে বসে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও মোগরাপাড়া, নবীগঞ্জ, কাইকারটেক, লাঙ্গলবন্দ, মদনগঞ্জ, মদনপুর ও বারদি, অলিপুরা আঞ্চলিক সড়কে ভোর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকে। দীর্ঘ যানজটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন চালক ও যাত্রীরা। তীব্র দাবদাহে যানজটে আটকা পড়ে শতাধিক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী হানিফ পরিবহনের চালক শহীদুল ইসলাম জানান, সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে ৪ ঘণ্টায় মদনপুর এসেছেন। যানজট না থাকলে অন্য সময়ে ৩০ মিনিটে এ স্থানে আসতে পারতেন।
কুমিল্লা থেকে গাজীপুরগামী ট্রাকচালক কামাল হোসেন জানান, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচর থেকে যানজট শুরু হয়েছে। ২ ঘণ্টায় সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এসে পৌঁছেছেন।
সোনারগাঁও থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, সকাল থেকে মহাসড়কের অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ যানজট দূর করার চেষ্টা করছে।