পিরিয়ডের সময় ওজন বাড়া খুবই স্বাভাবিক। এ সময় আরও কিছু শরীরিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তবে এই অতিরিক্ত ওজন কিছু দিনের মধ্যেই কমে যায়।
পিরিয়ড কী
প্রতি চন্দ্র মাস পর পর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মাসিক চলাকালে সাধারণত পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে।
আসুন জেনে নিই পিরিয়ডের সময় কেন ওজন বাড়ে-
পিরিয়ডের সময় বাড়তি ওজনটা মূলত শরীরে জমা হওয়া পানির ওজন। ‘ইস্ট্রোজেন’ আর ‘প্রোজেস্টেরন’ এই দুই হরমোনের মাত্রা এ সময় দ্রুত কমে যায়।
আকস্মিক এই হরমোনগুলোর মাত্রা কমে যাওয়া থেকেই শরীর ঋতুস্রাব শুরু করার সংকেত পায়। শরীরের ‘ইলেক্ট্রোলাইট’-এর ভারসাম্য বজায় রাখার দায়িত্ব এই দুটি হরমোনের।
এদের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণেই বিভিন্ন কোষে পানি আসতে শুরু করে। স্তন ও তলপেটেই এই পানি জমতে দেখা যায় বেশি। তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এই বাড়তি পানিও এমনিতেই দূর হয়ে যায়।
ওজন যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন-
১. পিরিয়ডের সময় চাহিদামাফিক পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজার থাকবে।
২. এ সময় মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করলেই সব ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না।
আবার চর্বিজাতীয় খাবারও অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
৩. এ সময় ভোজ্য আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া উচিত। এই খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
৪. পিরিয়ডের সময় লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন। কারণ লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে।
৫. শরীরচর্চা বন্ধ রাখবেন না। যতটুকু সম্ভব হয় ততটুকুই করুন।