অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ বলেছেন, সাহিত্য যদিও অনেকের কাছে অকাজের কাজ, কিন্তু সমাজ ও সভ্যতা নির্মাণে সাহিত্যিকদের বিকল্প নেই। বাংলার কবিরা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে আমৃত্যু দায়বদ্ধ। শব্দের সৃজনে নতুন নির্মাণ এবং সকল অসঙ্গতিকে তাড়াতে কবিদের কলম চলে। লেখালেখির পাশাপাশি প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। সাইক্লোন আজকে তরুণ কবি ইফতেখার শামীমের কবিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে যে আয়োজন করেছে তার জন্য সম্মান জানাচ্ছি। একুশে বই সম্পর্কে তিনি বলেন, একুশে শব্দটিই এই বাংলার অনশ্বর-অনিঃশেষ এক মহাকাব্য। ইফতেখার শামীমের এই কাব্যের আত্মজপ্রতিম শব্দরাজীকে নিজের দাবি করলে কি করবেন আপনি? তিনি আর বলেন কবিতা যে কেউ লেখতে পারেন। তিনি তরুণ কবিকে উদ্দেশ্য করে বলেন লেখালেখিরগতি থামিয়ে দিলে হবে না। উদাহরণ হিসাবে বলেন প্রাবন্ধিক সালেহ আহমদ খসরুকে আর প্রেম করার আহবান করেন কিন্তু পান্ডুলিপি তৈরি না করতে নিরুসাহিত করেন। তরুণদের জন্য মাঠটা রেখে যেতে চান এই ব্যক্ত করেন প্রধান অতথির বক্তব্য ।
গতকাল ০১ নভেম্বর ২০২১ (সোমবার) বিকালে সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে সাইক্লোন মিলয়নায়তনে অনুষ্ঠিত ১৮৬তম সাহিত্য আসরে তরুণ কবি ইফতেখার শামীমের প্রথম কাব্যগ্রন্থ একুশে’র প্রকাশনা অনুষ্ঠান ।
গল্পকার ও সাংবাদিক সেলিম আউয়ালের সভাপতিত্বে ও সাইক্লোন সাহিত্য সম্পাদক নাঈমা চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের শক্তিমান কবি ও অধ্যক্ষ কালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক সালেহ আহমদ খসরু, কবি রুকসানা হক, কবি কাউছার জাহান লিপি, কবি মাসুদা সিদ্দিকা রুহি, ভ্রমণলেখক মোয়াজ আফসার, ঔপন্যাসিক আলেয়া রহমান, সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সল, প্রভাষক কবি ইশরাক জাহান জেলি, ছড়াকার কামরুল আলম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছড়াকার এডভোকেট আব্দুস সাদেক লিপন ও মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি আহমাদ সালেহ।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবি লিপি খাঁন, কবি মুক্তার আহমদ, রোটারিয়ান আব্দুল মুহিত দিদার , গল্পকার ও নাট্যভিনেতা মিনহাজ ফয়সল, , কবি সম্রাট তারেক, কবি আজমল আহমদ, শামস মাহবুব, আলী মুহাম্মদ ইঊসুফ, গীতিকার এ. কে.নাজির আহম্মেদ, কামাল আহমদ, তাসলিমা খানম বিথী, সুফি আকবর, মো. জুবের আহমদ সার্জন, জেনারুল ইসলাম , বাসিত মুনতাসির,খায়রুল আলম রাজু, নাঈমুল ইসলাম গুলজার, ইউসুফ উল্লাহ, আব্দুল আজিজ রাজু, নাফিউল করিম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, মুনিরা সিদ্দিকা তারিন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেন, লেখালেখিতে সাফল্যের জন্যে প্রচন্ড ধৈর্য্যরে সাথে নিরন্তর চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। একথা যেমন ইফতেখার শামীমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনি নবীন-প্রবীণ সবার জন্যে প্রযোজ্য।
বিএম/এসএসডিসি